প্রতিবছরই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ডায়রিয়া। বিশেষ করে গরমকালে এর প্রকোপ বহুগুণ বেড়ে যায়। শীত শেষেই গরমকাল শুরু হচ্ছে। এরইমধ্যে সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে ডায়রিয়া নিয়ে। কারণ গেল বছর মার্চ মাস থেকেই ডায়রিয়া ❀প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো দেশে। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে তা ব্যাপকহারে বেড়ে যায়।
ডায়রিয়া ছোট-বড় যেকোনো বয়সের জন্যই একটি বড় সমস্যা। ডায়রিয়া হলে বমি, বারবার পায়খানা হওয়া, পেটে ব্যথা, অ্যাসিডিটির সমস্যাসহ জটিল𓄧 শারীরিক যন্ত্রণা শুরু হয়। এতে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই ডায়রিয়া হলে খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
ডায়রিয়া হলে খাবারে অরুচিও দেখা দেয়। বারবার পায়খানা ও বমি হওয়ার কারণ🌃ে শরীর থেকে পানি ও ইলেকট্রোলাইটস বের হয়ে যায়। এতে পানিশূন্যতাও হয়ে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে নিস্তেজের মতো হয়ে যায়। এই সময় ঘরে কিছু খাবার তৈরি করে খেতে পারেন। যা শরীরে শক্তি জোগাবে।
- ডায়রিয়ার সময় কলা হতে পারে আপনার বন্ধু। কলার মধ্যে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা পেটের সমস্যা দূর করে। সেই সঙ্গে শরীরে শক্তি জোগাতে কলার জুড়ি নেই।
- ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা দূর করতে লবণ ও চিনি গোলানো পানি পান করা যেতে পারে। সাধারণত ডায়ারিয়ার সময় স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে স্যালাইন খেতে যাদের আপত্তি বা যারা স্যালাইন হাতের কাছে পাচ্ছেন না তারা ঘরেই লবণ ও চিনি মিশিয়ে পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া ভালো পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটসের ঘাটতি পূরণ হবে।
- খিচুড়ি রান্না করেও খেতে পারেন। অনেকে ভাবেন, ডায়রিয়ায় খিচুড়ি খাওয়া ঠিক নয়। এটা ভুল। বরং খিচুড়িই আপনার হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফেরাবে। এমনকি ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দিবে মুগ ডাল। এতে অনেক ক্যালোরি থাকে। যা শরীরে শক্তি দেয়। এছাড়াও এটি সহজপাচ্যও। তাই হজমে ঘাটতি হয় না।