শরীরের অসুখকে যতটা আমরা গুরুত্ব দিই, মনের অসুখ ঠিক ততটা দিই না। এদিকে দিনে দিনে বাড়তে পꦿারে বিষণ্ণতা। নিজের প্রতি উদাসীনতা নিয়ে একজনকে যেতে পারে খাঁদের কিনারে। যে কারণে মানসিক চাপকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না কোনোভাবেই। এই চাপের পরিমাণ খুব বেশি হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অল্প-স্বল্প হলে কিছু নিয়ম মেনে চললেই কমবে মানসিক চাপ। জানাচ্ছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার।
নিয়মিত শরীরচর্চা
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর🦩্চা করা জরুরি। এটি করলে পেশী শিথিল হয়। এতে মানসিকভাবেও অনেকটা হালকা বোধ করবেন। সেইসঙ্গে যোগাসন বা মেডিটেশন ইত্যাদিও মনকে উৎফুল্ল রাখতে যথেষ্ট। তাই এ ধরনের ভালো অভ্যাসগুলো ধরে রাখুন।
সুগন্ধি ব্যবহার
মন ভালো করতে গন্ধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। নিজের জন্য বিভিন্ন ধরনের পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ঘরে রাখতে পারেন তাজা ফুল। বাজারে বিভি𓆏ন্ন ধরনের সুগন্ধী মোমবাতি কিন♓তে পাওয়া যায়। এগুলো জ্বালাতে পারেন। এতে মন সতেজ থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবেন পরিচ্ছন্ন। মন অনেকটাই ভালো থাকবে।
মন যা চায়
অধিকাংশ মানুষ মানসিক চাপে বেশি ভোগে অন্যের কারণে। অন্যের মনের মতো হতে গিয়ে যা কিছু করবেন, তা হয়তো আপনাকে আরও বেশি মানসিক চাপে ফেলে দিতে পারে। তাই ♊নিজের মন যা কিছু চায় তাই করুন। যে কাজগুলো কর꧑তে ভালোলাগে, তাই করুন। অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়ে নিজের আনন্দের জন্য কিছু করলে তাতে দোষের কিছু নেই। তাই মানসিক চাপ কমাতে প্রিয় কোনো কাজ করুন। হতে পারে তা রান্না, বই পড়া, মুভি দেখা, ঘোরাঘুরি কিংবা অন্যকিছু।
রঙের ব্যবহার
মানসিক চাপ ক🌸মাতে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের রং। এমন অনেক রং আছে যেগুলো মন ভালো করে দেয়। মানসিক চাপ কমাতে রং-তুলি নিয়ে বসে পড়তে পারেন। যা মন চায় তাই আঁকাআঁকি করতে পারেন। খুব একটা ভꦜালো আঁকতে না পারলেও ক্ষতি নেই। এতে আপনার মন অনেকটাই ফুরফুরে হয়ে উঠবে। নিজেকে হালকা মনে হবে।