রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে সারাক্ষণই ঘরবাড়ি পরিস্কার করছেন। কিন্তু পরিস্কারের এসব সামগ্রীই যদি রোগের কারণ হয় তবে উপায় কী! ঘরের মেঝে, জানলা, টেবিলের কাচ, কাঠের আসবাব, টেলিভিশনের স্ক্রিনে জমা ধুলো-ময়লা পরিস্কার করতে প্রতিনিয়ত ব্যবহার হচ্ছে ক্লিনার বা জীবাণুনাশক। পানিতে মিশিয়ে এগুলো ব্যবহার কর🅘া হয়। কিন্তু এসব ক্লিনারে থাকে রাসায়নিক উপাদান। যা থেকে হতে পারে স্নায়ুর রোগ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্লিনার, স্যানিটাইজার ꦬকিংবা বাচ্চাদের ব্যবহার করা ওয়াইপসে রাসায়নিক উপাদান থাকে। যা 💜ব্যবহারে ময়লা বা জীবাণু পরিস্কার তো হচ্ছে কিন্তু এরপরই শুরু হচ্ছে হাঁচি, কাশি কিংবা বুকে অস্বস্তি। আবার অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়তে দেখা যায় অনেকক্ষেত্রে।
গবেষণায় এই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকরা জানান, ঘর পরিষ্কার করার প্রায় সব দ্রবণে ‘কোয়াটারনারি অ্যামোনিয়াম’ ব🌊া ‘কোয়াট্স’ নামক একটি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের জন্য় ক্ষতিকর। এটি বিষাক্ত রাসায়নিক। যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে। ‘কোয়াট্স’নামক এই রাসায়নিকটি স্যানিটাইজ়ার ও ওয়েট ওয়াইপ্সেও ব্যবহার করা হয়।
২০২৩ সালেই এই বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় জানা যায়, ‘কোয়াট্স’ নামক রাসায়নিকের কারণে অ্যাজ়মা ও শ্বাসযন্ত্রের জটিল রোগ ‘সিওপি🦋💦ডি’-র সমস্যা বাড়ে।
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত আরও একটি গবেষণাপত্রেও এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। সেখানে বলা হয়, ‘কোয়াট্স’ মস্তিষ্কের এক ধর♓নের কোষ ‘অলিডেনড্রসাইট্ꦆস’-এর কাছে বিষের মতো।
গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে স্নায়ুর চিকিৎসকেরা জানান, , ‘কোয়াট্স’ রাসায়নিকের সংস্পর্শে মস্তিষ্কের কোষগুলো এলেই ꦰধ্বংস হয়ে যায়। ফলে স্নায়ুতন্ত্রের একটি অংশের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বিকাশেও বাধা দেয়।
এদিকে ইনস্টিটিউট ফর গ্লিয়াল সায়েন্সের অধ্যক্ষ এবং গবেষণা প্রধান প♛ল টিজ়ার বলেন, “কোয়াটস মানবদেহে স্নায়ুতন্ত্রের উপর সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলে কি না সে বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তবে, ‘কোয়াট্স’ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অবহিত।”
প্রশ্ন হচ্ছে, ঘরের মেঝে, টেবিলের কাচ, শৌচাগার কিংবা আসবাব পরিষ্কারের জন্য এসব ক্লিনার বিপদজ্জনক হলে উপায় কী হবে? বিশেষজ্ঞরা জানান, এক্ষেত্রে ‘কোয়াট-ফ্রি’ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে। প্রডাক্টের গায়ে স্ট্যাম্প দেখে কিনতে হবে🤪। কেনার সময় দেখতে হবে ১০০ শতাংশ ভেষজ উপাদানে তৈরি প্রডাক্ট কি না। নয়তো ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবকিছু পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। ভিনিগার, লেবুর রস, বেক𝄹িং সোডার মতো প্রাকৃতিক ক্লিনার ব্যবহার করা নিরাপদ।