পূজার আনন্দ মানেই ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরে গিয়ে উৎসবে মেতে উঠা। নিরামিষ, আমিষ, তৈলাক্ত, মিষ্টান্ন– সব ধরনের খাবার যেমন বেশি খাওয়া হয় তেমনি ঘোরাঘুরি𝓰ও বেশি ꦕহয়। এতো সবকিছু করতে চাইলে সুস্থ থাকা জরুরি। আবার সবকিছু শেষে স্বাভাবিক কাজে কর্মে ফিরতেও সুস্থ থাকা দরকার।
কীভাবে সুস্থ থেকে ෴পূজার আনন্দ♋ উপভোগ করবেন জেনে নিন-
- পূজায় ঠাকুর দেখার জন্য বা বেড়ানোর জন্য একটানা হাঁটাহাঁটি করা যাবে না। হাঁটাহাঁটির মাঝে বিশ্রাম নিতে হবে।
- পূজার সময় বেশির ভাগ নিরামিষ খাবারের মধ্যে কিছু খাবার অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা চিনি ও ঘি দিয়ে রান্না করা হয় কিংবা ভাজা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এধরনের খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কাই সতর্ক হতে হবে।
- দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা কিংবা অতিরিক্ত খাওয়ার কারনেও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিমিত খাবার খেতে হবে।
- পূজায় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, পায়েস, লুচি-ডাল-তরকারি, পাঁঠার মাংস এসবের আয়োজন করা হয় বেশি। যারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের এসব খাবার গ্রহণে রক্তে গ্লুকোজ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক হতে হবে।
- অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি প্রোটিনের সঙ্গে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া উচিত। এতে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং শরীরও পুষ্টি পায়।
- রাস্তার পাশের ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর খাবার যাতে মাছি বসছে বা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে, যেন শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
- রাস্তা থেকে পানি, শরবত, নরম পানীয় কিনে খাবেন না। এই সময়টাতে ডায়রিয়া, আন্ত্রিক বেশি ছড়ায়। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।
- সম্ভব হলে রোজ ডিটক্স পানীয় খান। এতে শরীরের টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
- পুজোর সময় নিয়ম করে ব্যায়াম বা জিমে যাওয়া হয় না। তাই বাড়িতেই হালকা শরীরচর্চা করুন। প্রতি দিন ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলে স্ট্রেচিং, কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম নিয়মিত করুন।
- যারা আলসার রোগে ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত ঝাল, ভাজাপোড়া, তেল, মসলাজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
- ফল অত্যন্ত জরুরি খাদ্য উপাদান। প্রায় সব ধরনের ফলেই থাকে পানি, যা আপনার পানিশূন্যতা পূরণ করে। ত্বককে সুস্থ এবং নরম রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরে লবণের ঘাটতি পূরণ করে। এ ছাড়া প্রতিটি ফলে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিপরীতে কাজ করে থাকে। শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ফল দারুণ কাজ করে। তাই পূজার সময় খাদ্যতালিকায় ফল রাখুন।