জয়পুরহাটের পাঁচ🍒বিবিতে বড়মানিক এলাকায় ছোট যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এতে ওই পথ দিয়ে চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে কাঠের সেতু। তবে সেটিও এখন নড়বড়ে অবস্থা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতু নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় জনসাধারণের পারাপারের জন্য বিকল্প কাঠের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে স্রোতের কারণে কাঠের সেতুর খুঁটিগুলো দেবে গেছে এবং পাটাতন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে এরই মধ্💙যে কর্তৃপক্ষ য♔ান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগের সেতু ভেঙে চলাচলের জন্য পাশে বেইলি সেতু নির্মাণ করার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকে রিকশা-ভ্যান উঠলেই কাঠের সেতুটি কাঁপত। এখন খুঁটি দেবে গেছে। নতুন সেতু নির্মাণের নির্ধারিত সময় দেড় বছরের মধ্যে অর্ধেক পার হয়ে গেছে। নির্মাণ কাজে অগ্রগতিও কম। নির্ধারিত সময়ের নতুন সেতু নির্মিত হ🍌বে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছꩵেন তারা।
করিয়া গ্রামের অটোরিকশাচালক কেরামত আলী বলে🐟ন, “নদীতে পানি বাড়ার কারণে কাঠের সেতুর কিছু অংশ ভেঙে গেছে। তাইতো সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। আমরা যাত্রী নামিয়ে শুধু গাড়ি নিয়ে পার হচ্ছি। তা না হলে এইটুকুর জন্য প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হবে।“
মোটরসাইকেলচালক বাবুল মিয়া বলেন, “কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে নদীতে পানি
বেড়েছে। পিলারগুলো নড়ার কারণে ওপরের পাটাতন বাঁকা হয়ে গেছে। যে কোনোꦏ সময় এটি ধসে পড়তে পারে। কর্তৃপক্ষের কা♋ছে অনুরোধ দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।“
অটোরিকশার যাত্রী সুমাইয়া﷽ আক্তার বলেন, “এই স💯েতু দিয়ে যাত্রী নিয়ে কোনো যানবাহন যাচ্ছে না। আমরা হেটেই যাচ্ছি। এই সেতু ঝুঁকিপূর্ণ, যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।“
এলজিইডির পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী সা💖মিন শারার ফুয়াদ বলেন, “আমরা সেতুটি পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিকল্প সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া জনগণের দাবির মুখে সেখানে একটি বেইলি সেতু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।“
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক এলাকার ৩৪০ মিটার চেইনেজ ৯০ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ ꦍগ্রার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭২ টাকা। ২০২৫ সালের ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।