স্বাদ বাড়াতে অনেকেই খাবারে বিট লবণ ব্যবহার ক♛রে থাকেন। এতে হয়তো স্বাদ বাড়ে কিন্তু এর সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে বিষ। কারণ, বিট লবণের প্রধান উপাদানগুলো হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, ফেরাস সালফেট ও ফ্লুরাইড। এসব উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
যে কারণে খাওয়া যাবে না বিট লবণ
- বিট লবণে থাকা সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
- এই লবণে আয়োডিন থাকে না, যার ফলে বিট লবণ থেকে আয়োডিন পাওয়া যায় না।
- ডায়াবেটিস, হার্ট বা কিডনির রোগীদের জন্য বিট লবণ খুবই ক্ষতিকর। তাই যারা এ ধরনের সমস্যা তাদের বিট লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২ দশমিক ৩ গ্রামের কম ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের ১ দশমিক ৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে লবণে যদি ফ্লুরাইড থাকে তাহলে তা হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা সৃষ্টি করে, রক্তস্বল্পতা, রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও পাকস্থলীর ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে।
- শরীরে পটাশিয়াম বেশি গেলে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। তাই কিডনির সমস্যা (Kidney problem) থাকলে কম সোডিয়াম দেওয়া লবণ না খাওয়াই ভালো।
- ৪ দশমিক ৯ গ্রাম অর্থাৎ প্রতি চা চামচ বিট লবণে রয়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ গ্রাম ফ্লুরাইড। ফ্লুরাইড থাইরয়েড গ্রন্থি, হাড়, জয়েন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এটি এমন একটি উপাদান যা সিসা, পারদ ও রেডন গ্যাসের মতোই বিষাক্ত।
- দাঁত ও হাড়ের গঠনে ফ্লুরাইড প্রয়োজনীয় উপাদান। মানবদেহে ফ্লুরাইডের সহনীয় মাত্রা ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম। কিন্তু তা যদি ৪ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায়, তাহলে তা বিষে পরিণত হয়।
- ওজন হ্রাস পায়, ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, দাঁতের ক্ষতি হয় ও চুল পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দেয় অতিরিক্ত বিট লবণ গ্রহণে।