অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। সারাদিন অফিসে বসে কাজ করে পেটে মেদ জমছে, আবার শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণেও মুটিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা এবং হাঁটাহাঁটি করেও কাজ হচ্ছে না। খাদ্যতালিকায় কম খাবার রেখে আরও দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু ওজন কমছে না তেমন। চিন্♔তা তো হবেই। এতো কষ্ট করেও যারা এখনও ওজন কমাতে পারছেন না তারা ভরসা রাখতে পꦓারেন একটি মাত্র মশলায়। যা আপনার রান্না ঘরেই রয়েছে। সেই উপকারী মশলাটি হচ্ছে হলুদ।
প্রতিদিনের রান্নার কাজে হলুদের জুড়ি নেই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য সুপার ফুড। শরীরের অনেক সমস্যাই সমাধান করে দেবে এই হলুদ। তাই এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। হলুদের সক্রিয় যৌগ ✅কারকিউমিনের মধ্যে প্রদাহ🅷বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য মেদ ঝরায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রদাহজনিত সমস্যার কারণে বিপাকহার কমতে থাকে। যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। হলুদের মধ্যে থাকা ‘কারকিউমিন’এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। এটি একটি অ্যান্টি🤪-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা মাধ্যমে প্রদাহনাশ হয়।
শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ বাড়লেও বিপাকহার ✅কমে যায়। বিপাকহার কমে গেলে শরীরে অন্য সমস্যাগুলোও🎃 বেড়ে যায়।
‘সায়েন্টিকা ফার্মাসিউটিকা’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, ‘কারকিউমিন’ এক ধরনে✨র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই এই ধরনে♉র সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ।
বিশেষজ্ঞরা আর🎐ও জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ ইনসুলিন হরমোন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে ওজন বেড়ে যায়। কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে শরীরে ইনꦿসুলিন সেন্সিটিভিটি ভালো হয়।
প্রতিদিনের খাবারে যেভাবে হলুদ যুক্ত করবেন
প্রতিদিনের খাবার রান্নায় হলুদ ব্যবহার তো হচ্ছেই। এর বাইরে কাঁচা হলুদ খেতে চাইলে কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার স্মুদি বানালে সেখানেও সামান🍨্য হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন। হলুদ যেকোনো ঠান্ডাজনিত রোগ ভালো করতেও অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়াও আয়ুর্বেদিক ওষুধে জনপ্রিয় একটি ঐতিহ্যবাহী পানীয় গোল্ডেন মিল্ক। যা তৈরি করতে হলুদের গুঁড়া গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। এর সঙ্গে গোল মরিচ ও মধু মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ গোল্ডেন মিল্ক পান করুন। আপনার ওজন কমানোর যাত্রা সহꦉজ হবে।
হলুদ চা বানিয়েও খেতে পারেন। হলুদের গুঁড়া বা তাজা হলুদের টুকরো গরম পানিতে দিয়ে জ্বাল🐎 করুন। এর সঙ্গে গোলম🐼রিচ এবং অন্যান্য মসলা যেমন আদা এবং দারুচিনি মিশিয়ে নিন। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিন। হলুদ চা পান করলে বিপাকক্রিয়া ভালো থাকবে। ওজন কমানো সহজ হবে।
প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাবেন
অতিরিক্ত হলুদ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অন্যান্য সব মশলা এবং ভে꧂ষজগুলোর মতো, হলুদ সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন🦄, শরীরের জন্য উপযোগী যখন এটা নির্দিষ্ট পরিমাণে সেবন করা হয়। তাই খাবার রান্নাতেও হলুদ গুঁড়ো কম ব্যবহার করবেন।
বিশেষজ্ঞরা জানা⛎ন, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হলুদ খেতে পারেন। এর বেশি ১ থেকে ৩ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যায়। কিন্তু তার বেশি হলে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তবে একজন ব্যক্তি কতটা হলুদ খেতে পারেন সেটা তার স্বাস্থ্য অবস্থার উপরে নির্ভর করে। তাই এই বিষয়ে চিকিতসকের পরামর্শ নিন।