প্রিয় মানুষটির মনখারাপ, কোনো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। জীবনসঙ্গী হিসাবে কীভাবে তার পাশে থাকবেন? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যে মানুষটি সমস্যায় রয়েছেন তার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। হাবেভাবে বোঝাতেও হবে, আপনি তার জন্য সমব্যথী, সহমর্মী। অন্য মানুষটির অনুভূতি আপনি বুঝতে পারছেন, স🀅েটাই তাকে সাহস-ভরসা, দুই-ই জোগাবে। সর্বোপরি, মানুষটিকে বাড়তি সময় দেওয়া দꩲরকার।
পাশে থাকা
‘ভয় নেই, আমি তো আছি। সব সময় থাকব’— এই ভরসাটুকু যদি সঙ্গীকে দেওয়া যায়, তাহলে তিনি মন꧙ে জোর পাবেন। সমস্যা নানা রকমের হয়। অফিসের সমস্যা হতে পারে,𓆉 কেউ কিছু খারাপ কথা বললেন বা ক্রমাগত বলে চলেছেন, তা নিয়ে মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। কেন সমস্যা, সেই অনুযায়ী তাঁর সমাধানের পথ খোঁজা প্রয়োজন।
এ ছাড়া সমস্যার কারণ যদি স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয় হয়, তা হলে অন্য মানুষটির মনঃকষ্টের কারণ বুঝে🌳 কী করা যায়, ভাবতে হবে। আবার কারণ যদি বাহ্যিক হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু করতে পারেন কি না, দেখতে হবে। সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানগুলি খুঁজে কোনটি উপযুক্ত, তা স্থির করা প্রয়োজন।
কথা বলতে উৎসাহ
অনেক সময় উদ্বেগ বা কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেন। সেই সময় তিনি যদি একা থাকতে চান, সেই সময়ট🌠া তাকে দিতে হবে। 💃পাশাপাশি কষ্টে থাকা মানুষটি যাতে মন খুলে কথা বলতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
মন ভালো করার চেষ্টা
সঙ্গীকে নিয়ে কিছুটা সময় ঘুরে আসা যেতে পারে। কোনো রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কোনো বন্ধুর বাড়িতেও ঘুরে আসা যায়। মনের মধ্যে নিরন্তর চলতে থাকা নেতিবাচক ভাবনাগুলি এ ভাবে কিছুটা সময় অন্তত ভুলিয়ে দিতে পারেন কাছের অন্য মানুষটি। জীবন যে শুধু খারাপ নয়, অনেক ভালো লাগাও দৈনন্দিন জীবনে থাকে, সে বিষয়ে তাকে 🅠উৎসাহী করা যেতে পারে।
শখকে গুরুত্ব
সঙ্গীর মনখারাপের কারণ খুঁজে সেই মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। মন ভালো রাখতে সেই মানুষটিকে তার শখ-শৌখিনতা নিয়েও উৎসাহ দেওয়া যেতে পারেꦬ। কেউ হয়তো গান গাইতে ভালোবাসতেন, কারো শখ ছিল অন্য কিছু। যদি তাদের সেই পরিবেশগুলি আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে উৎকণ্ঠা হোক বা মনখারাপ, কিছুট𓃲া হলেও কমতে পারে।
স্পর্শে সান্ত্বনা
প্রিয়জনের স্পর্শটুকু অনেক সময় কঠিন সময়ে বড় সান্ত্বনা হয়ে দাঁড়ায়। যে মানুষটি কোনো কারণে দুঃখে রয়েছেন, ভ💯েঙে পড়েছেন বা কান্নাকাটি করছেন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া, হাতে হাত রাখা, বুকে জড়িয়ে ধরার মাধ্যমেও ভরসা দেওয়া যায়।
তবে যদি প্রিয় মানুষটির কথাতেও, সাধ্য মতো ভরসা জোগানোর পরেও পরিস্থিতির বদল না হয়, অবসাদ ঘিরে ধরতে থ🎃াকে বা জীবন অর্থহীন মনে হতে শুরু করে, তা হলে কাউন্সেলিং করানো প্রয়োজন।
সূত্র : আনন্দবাজার