রোজা রেখে প্রতিদিনই কমবেশি চিনি খাচ্ছেন। ইফতারে কোনো মিষ্টি পদ বানানোই হয়। আর তা চিনি ছাড়া বানানোর কথা চিন্তাও করতে পারেন না। বিশেষ করে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের পানীয় বা শরবত তৈরিতে কমবেশি চিনির ব্যবহার হয়। কিন্তু চিনি শরীরের জন্য ভালো নয়। ইফতারে খালি পে൩টে চিনির শরবত খাওয়া আরও ক্ষতিকর। তাই অনেকে গুড় বেছে নেন। গুড়ের শরবত, গুড়ের পায়েস কিংবা যেকোনো মিষ্টি পদে গুড় ব্যবহার করেন। চিনির পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে গুড় কতখানি কার্যকর তা জানেন?
গুড় ও চিনি দুটোই আখের রস থেকে বানানো হয়। তবে🧸 প্রক্রিয়াকরণ তৈরিতে ভিন্নতা রয়েছে। এদিকে পুষ্টিবিদরাও জানান, চিনি অপেক্ষা গুড় বেশি💜 স্বাস্থ্যকর। চলুন দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা দেখে আসি।
- গুড় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক শর্করা। যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। আর চিনি তৈরিতে ব্লিচিং ব্যবহার করা হয়। যা রাসায়নিক। তাছাড়া চিনি তৈরিতে অনেক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- গুড়ে সুক্রোজ অণুগুলো চেইনে থাকে। অন্যদিকে গুড়ের মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। অন্যদিকে চিনির মধ্যে ফাঁপা এবং শুধু ক্যালোরি বেশি থাকে।
- গুড়ের অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য আছে। যা হাঁপানি, সর্দি- কাশি ও বুকের শক্তভাব হওয়ার সমস্যা সারিয়ে তোলে। অন্যদিকে চিনিতে এমন কোনো সুবিধে পাওয়া যায় না।
- খাবারের পর গুড় খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। অন্যদিকে চিনি খেলে হজমের সমস্যা বাড়ে।
- রক্তশূন্যতার সমস্যায় গুড় খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক ও সেলেনিয়াম থাকে। যা চিনিতে পাওয়া যায় না।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকস্থলিতে গুড়ের শোষণ খুব ধীরে হয়। এতে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যদিকে চিনি দ্রুত শোষিত হয়। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সূত্র: নেটমেডস