সন্তান জন্মের আগে আর পরে মায়েদের খাবার নিয়ে যত্নশীল হতে হয়। নবজাতকের পুষ্টির একমাত্র উত্স মায়ের খাবারের মধ্যেই থাকে। মা পুষ্টিকর খাবার খেলে সন্তান পুষ্টি পায়। গর্ভে থাক𓄧াকালীন কিংবা ভূমিষ্ট হওয়ার পর বাচ্চার পূর্ণাঙ্গ পুষ্টি নির্ভর করে মায়ের খাবারের ধরণের উপর। তাই কী খেতে হবে, আর কী খাওয়া যাবে নাꦫ তা নিয়ে থাকে কড়া সতর্কতা।
সদ্যোজাতদের কাছে পুষ্টির একমাত্র উৎস মাতৃদুগ্ধ। ছয় মাস পর্যন্ত স্তন্যপান করেই নবজাতকরা তৃষ্ণা ও খিদে মেট🔥ায়। এর মাধ্যমেই মায়ের শরীর থেকে যাবতীয় পুষ্টি সদ্যোজাতের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। তাই নতুন মায়েদের, বিশেষ করে যারা ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছেন তাদের খাবারের বিশেষ নজর দিতে হয়। সন্তান দ্রুত বেড়ে উঠার জন্য মায়ের ডায়েটে যোগ করতে হয় নানা পুষ্টি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার। পাশাপাশি বেশ কিছু খাবার ডায়েট থেকে বাদও দিতে হয়। বিশেষ করে এই ৪ খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না।
কিছু মাছ ভুলেও নয়
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্𒀰যাসিডসমৃদ্ধ মাছ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন মায়েদের ডায়েটে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ রাখতে হবে। কিন্তু কিছু মাছ ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় খাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা জানান, বেশ কিছু মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারে মার্কারির পরিমাণ বেশি থাকে। যা শিশুদের জন্য বিষাক্ত। বেশি মার্কারিযুক্ত খাবার শিশুর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা দেয়। এমনকি শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণও হতে পারে। তাই এই সময় টুনা, শার্ক🃏 এবং ম্যাকেরেলের মতো মাছ খাওয়া যাবে না।
প্রসেসড ফুড
ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় মায়েদের টাটকা খাবার খেতে হবে। প্রসেসড ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। প্রসেসড ফুডে মূলত ক্যালোরি, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এনং অতিরিক্ত চিনি থাকে। যা মা ও সন্তানের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া এতে ফাইবার,𓃲 ভিটামিন এবং খনিজসহ নানা পুষ্টিকর উপাদানও কম থাকে। তাই এসব খাবারে পেট ও মন ভরলেও খুব একটা পুষ্টি পাওয়া যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় মায়েরা যে খাবার খাবেন পরবর্তী সময়ে শিশুদের সেসব খাবারের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে। তাই এসব খাবারে মায়েদের সতর্ক থাকা জরুরি।
অ্য়ালকোহল
নবজাতক স্তন্যপান করলে মায়েরা অ্য়ালকোহল ভুলেও স্পর্শ করবেন না। এটি মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে যেতে পারে। 🙈যা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতি। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। তাই সন্তান স্তন্যপান করলে অ্যালকোহলকে দূর🌠ে সরিয়ে রাখুন।
ক্যাফেইন
বাচ্চা মাতৃদুগ্ধ পান করার সময় মায়েদের কফি, সোডা, চা এবং চকোলেট না খাওয়াই ভালো। এগুলোতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকে। ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় এসব খাবার খেলে মাতৃদুগ্ধে ক্যাফেইনের উপস্থিতি দেখা যায়। যা শিশুর শরীরেও প্রবেশ করে। শিশুর ঘুমের সমস্যা হয়। তাই ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় মায়েদের কফি বা চায়ে🔯 চুমুক দেওয়া যাবে না। খুব বেশি ইচ্ছে হলে দিনে একবার চা বা কফি পান করতে পারেন। তবে এর বেশি নয়।