গরমকাল নাকি ওজন কমানোর উত্কৃষ্⭕ট সময়। এই সময় অতিরিক্ত ঘাম হয় আর শরীরের সব চর্বি বের হয়ে যায়। তাই শরীরচর্চায় খুবﷺ বেশি সময় না দিলেও চলে। তাছাড়া গরমে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছেও হয় না। শরীর এমনিতেই ক্লান্ত থাকে। শরীরচর্চা করলে আরও ক্লান্ত হয়ে যায়। তবে হাটাহাটি না করে একদম বসে থাকলে কিন্তু ওজন কমবে না। বরং শরীরকে অ্যাক্টিভ রাখতে হবে। আর শরীরে শক্তি ধরে রাখতে হবে। শরীরে শক্তি ধরে রাখার জন্য় এই গরমে ৩ ধরণের স্মুদির ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এই স্মুদি খেলে ওজন কমে যাবে আবার শরীর ঠান্ডাও রাখবে। চলুন জেনে নেই সেই স্মুদিগুলো কী কী_
স্ট্রবেরি, ওট্স ও চিয়াবীজের স্মুদি
স্ট্রবেরি, ওট্স ও চিয়াবীজের স্মুদি খেতে বেশ মজা। এই স্মুদি পেটের মেদ ঝরাবে। স্ট্রবেরি পেটের চর্বি কমায়। আবℱার এতে থাকা ফাইবারও ওজন কমায়। আর ওটস খেলে পেট ভরা লাগে। চিয়াবীজে রয়েছে ফাইবার, যা শরীরে শক্তি জোগাবে। এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন। পেট ভরে যাবে। আবার শরীরকে চাঙ্গাও রাখবে।
শসা, তরমুজ ও জিরার স্মুদি
শসা ফ্যাট কমাতে বেশ উপযোগী। এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম। শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি তরমুজও কম ক্যালোরিযুক্ত ফল। এটি শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে﷽। অন্যদিকে জিরা হজমশক্তি বাড়ায়। ক্ষুদা মিটিয়ে দেয়। ওজন দ্রুত কমে যায়।
কমলালেবু, পাতিলেবু ও তিসিবীজের স্মুদি
কমলা লেবু, পাতিলেবুর রসের সঙ্গে তিসিবীজ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এটিও ওজন কমিয়ে আপনাকে সুস্বাস্থ্য দেবে। আবার গরমে প্রশান্তিও পাবেন। কমলা লেবুতে ক্যালোরি খুবই কম। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারাটেনয়েড, ভিটামিন স♍ি সমৃদ্ধ। যা শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের করে। অন্য দিকে তিসির বীজে রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘ সময় পেটে থাকে। তাই ক্ষুদা কম পায়। এছাড়াও তিসিবীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরে মেদ জমতে দেয় না। এই স্মুদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। কারণ পাতি লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।