বাংলা সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী শাবানা। যার প্রাণবন্ত অভিনয় শুধু দর্শক নয়, বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরাও অনꦉুপ্রাণিত হতেন। সꦜেই কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানার জন্মদিন শনিবার (১৫ জুন)। জনপ্রিয় এই নায়িকার জন্মদিনে তাকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন আরেক গুণী নায়িকা অঞ্জনা।
শনিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবার (১৫ জুন) তিনি লিখেছেন, শুভ জন্মদিন বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি প্রাণপ্রিয় পরম শ্রদ্ধেয় শাবানা আপা। আমাদের একসঙ্গে অসংখ্য সুপার বাম্পার হিট মাইলস্টোন কালজয়ী চলচ্চিত্রে কাজের মধুময় স্মৃতি। অনেক ভালোবাসা সবসময় আপনার জন্য। আপনার তুলনা শুধুই আপনি। আপনার অনবদ্য অভিনয় দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে সেই শৈশবকাল থেকে আমার মনে-প্রাণে চলচ্চিত্রের প্রতি গভীর ভালোবাসা তৈরি হয়েছিলো।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি সত্যি অনেক ভাগ্যবতী। কারণ, বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণের পর আমার দ্বিতীয় চলচ্চিত্রেই বিখ্যাত (সেতু) সিনেমাতেই আপনাকে পাই। তারপর আমাদের দুইজনের একসাথে অসংখ্য সুপার বাম্পারহিট মাইলস্টোন বিখ্যাত চলচ্চিত্রে কাজের স্মৃতি অনেক। যা এখনো বাংলা সিনেমাপ্রেমী দর্শকের হৃদয়ে 𓆉অমর হয়ে আছে।
শাবানা অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সম♉াধান’, ‘জীবন সাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’ উল্লেখযোগ্য।
অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শাবানা ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভ༺া পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্ক💎ার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার ও কথক একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ব্যক্তিগ🍒ত জীবনে এই অভিনেত্রী বিয়ে করেছেন ওয়াহিদ সাদিককে। তাদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। তাদের ঘর আলো করে আসে দুটি কন্যা ও একটি পুত্রসন্তান। সংসার সামলেও সিনেমায় একের পর এক চমক দেখিয়েছেন শ🐼াবানা।
কিন্তু ১৯৯৭ সালে অজানা কারণে আচমকা🍌 ঢালিউড থেকে বিদায় নেন তিনি। এরপর ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে চলে যান। বর্তমানে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এই ঢালিউড কন্যা।