বয়স বাড়লেই মানুষ বুড়ো হয়ে যায় না। সে চ♍াইলেই জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসেও চিরতরুণ থাকতে পারে। এই যেমন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। আজ ৭৯ বছরে পা দিলেন তিনি। কিন্তু এখনো তিনি যেন সেই ১৮ বছরের যুবক। তার কাছে বয়স মানে সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই না।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই ꦦকিংবদন্তি ১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের এক হিন্দু-শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হরি বংশ রাই বচ্চন একজন নামকরা হিন্দি কবি ছিলেন। তার মা তেজি বচ্চন ফয়সলাবাদের এক শিখ-পাঞ্জাবি ছিলেন।
মাত্র ৩০ বছর বয়সে অভিনেতা হওয়ার উদ্দেশ্যে কলকাতার ব্ল্যাকার অ্যান্ড কোং নাꦏমক জাহাজ কোম্পানির কাজে ইস্তফা দিয়ে মুম্বাই আসেন। অনেক পথ পেরিয়ে ‘সাত হিন্দুস্তানি’ নামক একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ছবির জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।
যদিও ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্য পায়নি, তবু অমিতাভ এই ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠ নতুন অভিনেতা হিসেবে ত🧸ার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন।
এর পরেই𝓡 তাকে সুপারস্টার রাজেশ খান্নার সঙ্গে দেখা যায় ‘আনন্দ’ ছবিতে, যা বাণিজ্যিক সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রꦅশংসাও আদায় করেছিলেন। এর পর একে একে ‘রাম বলরাম’, ‘শান’, ‘লাওয়ারিস’ ও ‘শক্তি’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন অমিতাভ। তবে সেই সময়টাতে অভিতাভের সব থেকে সফল সিনেমা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে ‘দোস্তানা’কে।
শুধু সিনেমার রঙিন পর্দায় নয়, নিজের পারিবারিক জীবনেও সফল এই সুপারস্টার। ৩ জুন ১৯৭৩ সালে বাঙালি অভিনেত্রী ꦺজয়া ভাদুড়ির সঙ্গে জীবনের পথাচলা শুরু অমিতাভের৷ ৪৮ বছর কাটিয়ে আজও বলিউডের সেরা দম্পতি হিসেবেই খ্যাত তারা। তাদের দুই সন্তান শ্বেতা নন্দা ও অভিষেক বচ্চন।
বলিউডের শাহেনশাহ ও সহস্রাব্দের সেরা তারকা হ🌊িসেবে পরিচিত বচꦍ্চন তার পাঁচ দশকের অধিক সময়ের কর্মজীবনে ১৯০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এখনো তিনি সমানতালে কাজ করে চলেছেন।