• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


তিন দিন ধরে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৩, ০১:৫৯ পিএম
তিন দিন ধরে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

উজানের ঢল ও ভারী বꦐর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি তিন দিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দী মানুষ।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্🌼রবাহিত হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কিছুটা কমে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) রাত থেকে অস্বাভাবিক হারে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শুক্রবার পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রব🎀াহিত হয়।

তিস্তার বাঁ তীরে পাটগ্রামের আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিম꧟ারী, সি▨ঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার ও নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ ১৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। ভেঙে যায় চর এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা।

এ ছাড়া বেড়েছে ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি। শনিবার সকাল ৬টায় ধরলা নদীর শিমুবাড়ি পয়েন্টে পানি ♑বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকা।

জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উ💃পজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুꦕনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পুরো জেলায় প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা♚ পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিস্তার পা🃏নি আরও কয়েক দিন বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাউবো সূত্র জানায়, পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে তিস্তাপাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ 𝔍গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসা🦩উদ্দৌলা বলেন, তিন দিন ধরে উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর 🍬দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ রাখছি। জেলায় দুর্যোগকালীন ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও সাত লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএ♏নও এবং পিআইওর মাধ্যমে ১১০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ চলছে।”

Link copied!