রাজধানীতে সচিবালয়ে উপদেষ্টাদের অবরুদ্ধ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার 𓆉নেতৃত্𒆙বদাতার পরিচয় পাওয়া গেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কালবেলা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আনসারদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তির নাম কাদের। তিনি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ষাটঘর তেওতা (বিলপাড়া) এলাকার ফজলুল হকের ছেলে এবং তেওতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। কাদের বর্তꦇমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনসারের পিসি হিসেবে কর্মরত।
এর আগে রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রবেশ করে সারা দিন সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন তারা। এতে শিক্ষার্ꦉথীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে তাদের ওপরেও হামলা করেন আনসার ꦬসদস্যরা। এতে ৬🧸 সেনাসদস্য আহত হন, যাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এ🅠দিকে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়া আনসারদের নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন কাদের। সচিবালয়ের ভেতরে বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তি যে আনসার সদস্য কাদের, সেটি স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও প্রতিবেশী 🍎সফিউদ্দিন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।
সফিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “কাদের দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙꦕ্গে জড়িত। তি♏নি আনসারে চাকরিও করছেন এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।”
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ভিডিও দেখার পর নিশ্চিত হয়েছেন জ🎐ানিয়ে সফিউদ্দিন আরও বলেন, “ইউনিয়নে বিভিন্ন সম🍨য় ভিন্নমতের লোকজনদের নানাভাবে হয়রানিও করেছেন কাদের।”
ইউনিඣয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, “কাদের ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আনসার বাহিনীতে চাকরি করেন। প্রায় ১০ বছর আগে আনসার বাহিনীতে যোগ দেন কাদের।♈”
শিবালয় উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান🍰, কাদেরের মতো আনসাররা ঘাপটি মেরে থেকে ষড়যন্ত্র করছিল। তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার🐓।