পুলিশ সদস্য রিয়াজুর রশিদ ওরফে নয়ন (২৭) নোয়াখালীর ভাসানচর থানায় কর্মরত ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় ভাসানচর র🗹োহিঙ্গা ক্যাম্পের এক কিশোরীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাত দিন ধরে তারা উভয় নিখোঁজ। স্থানীয়দের দাবি, তারা পালিয়ে গেছেন।
পালিয়෴ে যাওয়া কিশোরী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ওই কিশোরী ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালেরꦐ রোহিঙ্গা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
একাধিক🐻 সূত্রে জান🐻া যায়, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুর রশিদ ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনেক দিন ধরে মোবাইলে ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে। অভিযোগ রয়েছে, কনস্টেবল নয়ন ভাসানচরে দায়িত্বে থাকাকালীন নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার পাশাপাশি মদ, গাঁজা সেবন করতেন। মাসখানেক আগে নয়নকে ভাসানচর থানা থেকে ক্লোজ করে নোয়াখালী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে নয়নকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনস রোলকলে পাওয়া যাচ্ছে না।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের রোহিঙ্গা ইউনিট থেকে একজন রোহিঙ্গা কিশোরী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়। আমাদের কাজ হচ্ছে চিকিৎসা দেওয়া। তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের। বিষয়টি জেল🌳া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
নোꦆয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়🦂টি আমি শুনেছি। তবে রোহিঙ্গা কিশোরী নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ সদস্য অনুপস্থিত আছে এটা সত্য। ইন-ডিসিপ্লিন ও কর্তব্য কাজে উদাসীনতার কারণে তাকে ভাসানচর থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
