সৌদি আরবের বাস দুর্ঘটনায় নিহত সবুজ হোসাইনের লক্ষ্মীপুরের গ্রামের💟 বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে জেলার রায়পুর উপজেলার চর মোহনা গ্রামে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শোকে কাতর পরিবার ও স্বজনরা। একমাত্র উপার্ꦚজনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। দ্রুত তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহতের চাচা বাচ্চু মিয়া জানান, প্রায় ৩ বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ঋণ নিয়ে হোটেল শ্রমিক হিসেবে সৌদি পাড়ি জমান সবুজ হোসাইন। চার ভাই-বোনের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল সবুজ। সর্বশেষ দুর্ঘটনার দিন বিকেলেও পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। মা-বাবার কাছে হজেﷺ যাচ্ছেন জানিয়ে দোয়া চান। এরপর রাতে মৃত্যুর খবর শুনতে পান স্বজনরা। তখন থেকেই আহাজারি যেন থামছে না পরিবারের।
সবুজের বাবা মো. হারুন বলেন, “৩ ব꧃ছর আগে ঋণ করে সবুজকে সৌদি পাঠাই। ঋণের ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। এখনো প্রায় ৩ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। ওমরাহ পালনের উদ্দেশে বিকেলে বের হয়েই ফোন দিয়ে দোয়া করতে বলে এবং আগামী বছর দেশে ফিরবে বলে জানায়। কিন্তু𓆉 এরই মাঝে ছেলের মৃত্যুর খবর আসে। একদিকে ছেলে বেঁচে নেই, অন্যদিকে ঋণের বোঝা মাথায় রয়ে গেল।“
সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনে যাওয়ার সময় বাস উল্টে গিয়ে ২২ জন নিহত 🎶ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। সৌদির দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আকাবা শার নামক স্থান🔜ে একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, একটি রেড ক্রিসেন্ট দলসহ জরুরি সংস্থাগুলোকে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহত যাত্রীদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রমজানে অসংখ্য মানুষ ওমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছেন এবং হজের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, এমন সময়ে এ ঘটনা মক্কা ও মদিনায় 🍨নিরাপদে যাওয়ার বিষয়টিকে কার্যত চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে।