• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৩ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


রংপুরে সহিংসতায় ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের নামে মামলা


রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
রংপুরে সহিংসতায় ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের নামে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতের ঘটনায় রংপুরে ৩টি হত্যা মাম🔯লা করা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে তিনটি মাললা ൩করা হয়।

এর আগে ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে 🅘নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এর ৩২ দিন পর আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল ও গনিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমানসহ সাবেক রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ ১৭ জনকে আসামি করে তাজহাট মেট্রোপলিটন আমলী আদলতে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার এএসআই আমীর আলী, কনস্টবল সুজন চন্দ্র রায়,♌ বেরোব꧋ি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, সহকারী কমিশনার মো. আল ইমরান হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার মো. আবু মারুফ হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল। এছাড়া অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পারস্পারিক যোগসাজ💧সে নির্দেশ দিয়ে গুলি করে আবু সাঈদকে হত্যার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঠেকানোর চেষ্টা করে। গত ১৬ জুলাই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

মামলার বাদী রমজান আলী সাংবাদিকদের বলেন, “১৬ জুলাই পুলিশ নির্মমভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। শুরু থেকে মামলা করতে চাইলেও নানা কারণে মামলা করতে দেরি🥀 হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।”

মাম🍌লার আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, “আমরা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে🌜 মামলার আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাজহাট থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।”

একই দিনে ১৯ জুলাইয়ের সহিংসতায় শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তাহির নিহতের ঘꦇটনায় তার বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকꩲ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

এছাড়াও একই আদালতে ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে ফলবিক্রেতা মিরাজুল ইসলামের নিহতের ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমি🎃শনার উৎপল কুমার পাল, সহকারী কমিশনার মো. আল ইমরান হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান ও তিনজন এসআইসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের মা আম্মিয়া খাতুন। মামলার বাকি আসামিরা সবাই রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়াম♈ী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা।

তবে মামলার তদন্ত নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে করার দাবি জানিয়ে আবদুল্লাহ আল তাহির হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এস এম মাহমুদুল হক সেলিম বলেন, “সাবেক সরকার ও রংপুরের নেতৃত্ব পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাদের সহযোগীতা ও পরামর্শে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাকেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাস🐼িনাসহ ৪০ জনকে আসামি করে আমরা মমলা করেছি। আদালত সেটি আমলে নিয়েছেন। আমরা চাই নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে দোষীদের 𒈔সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবেন আদালত।”

এদিকে রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, “যারা প্রকৃত দোষী শুধুমাত্র তারাই যেন শাস্তি পায়। কোনো নিরপরাধ মানুষকে যেন অন্যায়ভাবে ফাঁসানো না হয়। একই সঙ্গে যে মামলাগুলো করা হচ্ছে সেগুলো যেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের🤪 মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হয়।”

Link copied!