ভারত সবশেষ ২০১১ সালে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছিল। এরপর এগ যুগ পেরিয়ে গেলেও তারা আইসিসির কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন তো দূরের কথা ফাইনালেও জায়গা করে নিতে পারেনি। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে আরও একটি ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় ভারত। যে অপেক্ষাটা করছে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কারণ তার কাছে ফাইন𝕴ালে পৌঁছানোই সবা💜র ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্তের একটি।
আইসিসির টুর্নামেন্টে সবশেষ ভারত ২০১১ সালের ফাইনাল খেলে ছিল। সেই আসরে দলে ছিলেন না রোহিত। সেই আক্ষেপ এখনো পোড়ায় তাকে। এরপর ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে রোহিত দলে থাকলেও ফাইনালꦡে জায়গা করে নিতে পারেনি ভারত। তবে এবার দলের নেতৃত্ব তার কাঁধে। শিরোপা জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসীও তিনি।
শনি🔯বার (১৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, “নিঃসন্দেহে এটি (বিশ্বকাপ ফা🐷ইনাল) বিশাল উপলক্ষ। যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি তা পূরণের দ্বারপ্রান্তে। এটাই একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যে, তা মাথার বাইরে রেখে কীভাবে মনোযোগ ঠিক রাখা যায়। এটাই আমাদের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। তাই শান্ত ও স্থির থাকা জরুরি। কারণ এভাবেই পরিকল্পনাকে আরও ভালোভাবে কার্যকর করা যায়।”
রোহিত আরও বলেন, “বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সুযোগ রোজ আসে না। আমি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দেখেই বড় হয়েছি। তাই আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় উপলক্ষ হবে। আমি অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে এই দিনটির জন্য প্রস🌟্তুতি নিয়েছি আমরা। অধিনায়ক ও কোচের মধ্যে প্রচুর আলোচনার পর সবার ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়েছি। এই মঞ্চে পৌঁছানোর পেছনে এর গুরুত্ব বিশাল। মাইন্ডসেট ধরে রাখতে আমরা এখন পর্যন্ত নিজেদের সেরা চেষ্টাটা করেছি। আশা করি কালও করব।”
আহমেদাবাদে রোববার (১৯ নভেম্বর) ফাইনালে ম্যান ইন ব্লুদের প্রতিপক্ষ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। অজিরা প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করলেও পরের আট ম্যাচে আর পরাজয়ের স্বাদ পায়নি প্যাট কামিন্সের দল। তাই রোহিত মনে করেন অস্ট্রেলিয়া যোগ্য দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। রোহিত বলেন, “অস্ট🧸্রেলিয়ার শেষ আট ম্যাচের আটটিই জিতেছে। তারা ভালো ক্রিকেটে খেলেছে এবং দুই দলই ফাইনাল খেলার যোগ্য। আমরা জানি, অ꧋স্ট্রেলিয়া কী করতে পারে। তারা খুবই পরিপূর্ণ দল। নিজেরা কী করতে পারি, সেদিকে মনোযোগ দিতে চাই। নিজেদের ক্রিকেট ও পরিকল্পনার কথা না ভেবে, তারা কেমন ফর্মে আছে সেটা নিয়ে চিন্তা করতে চাই না আমরা।”