বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ২৬ জুলাই ঢাকায় জন🅺্ম খালেদ মাহমুদ সুজনের। ৫৩ বছর বয়সী সুজন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার ও অধিনায়ক। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। হঠাৎ করেই বোর্ড পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সফল এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।
কেন তিনি পদত্যাগ করলেন বা কোন্ অভিমানে দায়িত্ব ছাড়লেন, তার বিস্তারিত কꦆারণ এখনো জানা যায়নি। তবে তার পদত্যাগের কারণ প্রকাশ হওয়া খুবই জরুরী। তার অবর্তমানে দেশের ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ, দেশ🏅ের ক্রিকেটের সঙ্গে খুবই গভীর ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সফল খেলোয়াড় ও চৌকস সংগঠক সুজনের।
১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ দলে খেলেছেন এবং ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।𝓰 ওয়ানডে ও টেস্ট মিলে জাতীয় দলের হয়ে ৮৯টি ম্যাচ খেলে ১২৫৭ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ৮০টি উই🌳কেট।
তার ক্রিকেটীয় অলরাউন্ডার দক্ষতার জন্য, তিনি তার সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে ‘যোদ্ধা’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে 🌠তি♎নি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রযুক্তি পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন।
আশির দশকে🦄র শেষ দিকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মাধ্যমে উঠে আসা একজন তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান হালিম শাহ্ এর সাথে ২০০০-২০০১ সিজনে ঢাকা মেট্রোপলিসের হয়ে জাতীয় লীগে অভিষিক্ত হন খালেদ মাহমুদ সুজন। দুজনই পরে খেলেছেন ঢাকা বিভাগের হয়ে। হালিম শাহ্ একদিন আবিষ্কার করেছিলেন সুজন তার দুঃসম্পর্কের চাচা হন, সেই থেকে হালিম শাহ্ মাঠের ভেতর এবং বাইরে তাকে ‘চাচা’ ডাকা শুরু করেন, তার দেখাদেখি আশরাফুল এবং অন্য ক্রিকেটাররাও সুজনকে চাচা ডাকতে শুরু করলেন। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকসহ পরিচিত প্রায় সকলেই তাকে চাচা বলেই ডাকতেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন অলরাউন্ডার হলেও, 💙আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি বোলিংয়ে বেশি সাফল্য পান। ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারাতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এই খেলায় তিনি ২৭ রান করেন ও ১০ ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট লাভ করেন; এর জন্য তিনি ম্যাচসেরার পুরস্কার পান। ২০০৩-০৪ সালে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে তিনি ৩৭ রানে ৪ উইকেট এবং ৬৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
২০০৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে 🧜অবসর নেন এবং শেষ ম্যাচে সম্মানজনক ৩৬ রান করেন। পꦕরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ ও পরে প্রধান কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সর্বশেষ তিনি বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।