বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বু꧃ধবার (১৬ আগস্ট) হাজির হন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ꦇ(বাফুফে) ভবনে। সেখানে তাদের দাবি দাওয়া গুলো মেনে নিয়েছে বাফুফে। এরপর সাবিনারা চুক্তি পত্রে সই করেছেন। বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি।
সাবিনারা বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে দাবি রেখে ছিল 🎀তাদের ১০ হাজার টাকা বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। এই দাবি মেনে নিয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ৩১ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি করেছে তারা। এই ৩১ জনের মধ্যে ১৫ জন পাবে ৫০ হাজার, ১০ জন পাবে ৩০ হাজার, বাকি ছয় জন পাবে ১৫-২০ হꦫাজার টাকা করে।
নারী ফুটবলারদের দাবি সালাউদ্দিন মেনে নিয়েছেন। সাধারণ ভাবেই প্রশ্ন আসবে বাফুফে এই ট🌸াকার যোগান পাবে কোথায়? বাফুফে সভাপতি কাজী♛ সালাউদ্দিন বলেন, “আমাদের স্পন্সর ও ফিফা ফান্ড রয়েছে। সেখান থেকে এটা ম্যানেজ হবে। আমার সামর্থ্য থাকলে আরো বেশি দিতাম।”
নারী ফুটবালদের যে দাবিগুলো ছিল তা প্রায় সবই পূরণ করেছে সভাপতি। দাবি পূরণের পর সালাউদ্দিন বলেন, “ঈদ বোনাসটা দিতে পারিনি। ফুটবল বিশ্বে ঈদ, ক্রিসমাস বোনাস নাই। এছ💮াড়া বেতন বৃদ্ধি, ম্যাচ খেলাসহ অন্যান্য সবই করা হয়েছে।”
ফুটবলারদের যখন সব দাবি দাওয়া পূরণ করেই দিল💯েন বাফুফে সভাপতি। এরপর তো ফুটবলারদের কাছে কিছু প্রত্যাশা থেকেই যায় তার। সভাপতি বলেন, “ওরা ভালো পারফরম্যান্স করুক। পারফরম্যান্স করে আরো পাঁচ গুণ দাবি করুক এটা আমি চাই। সেটা আমি না পারি, আরেকজন এসে দেবে।”
বাফুফের এলিট একাডেমির খেলোয়াড়রা বিক্রি হলে সেখান থেকে কিছু অর্থ বাফুফেꦑ পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে নারী ফুটবলারা বাফুফের টাকায় সারা বছর চলে। কিন্তু নারী ফুটবলারা কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করলে সেই চুক্তির টাকা নিতে চান না বাফূফে সভাপতি। কারণ বাংলাদেশের নারী ফুটবল শুরু সাবিনাদের হাত ধরেই তাই তাদের আরও সাহায্য করতে হবে। সালাউদ্দিন বলেন, ”পেশাদার দৃষ্টিতে নারীদের চুক্তি থেকে ফেডারেশনের অর্থ নেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা নিতে চাই না। তারা নারী ফুটবলে প্রথম প্রজন্ম। তাদের আরো সহায়তা করা প্রয়োজন।”
বাংলাদেশের ফুট𝔉বল ফেডারেশন সাবিনাদের দাবি মেনে নেওয়াতে তারাও খুশি হয়েছেন। এরপর তারꦐাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন “আবদার পূরণ হওয়ায় আমরা খুশি।”