সদ্যসমাপ্ত পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজে পরাজিত হওয়ার ধাক্কা এখনও কাটেনি ইংল্যান্ডের। এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সি☂রিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংরেজরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্রিটিশদের কার্যত একতরফাভাবে উড়িয়ে দেয় ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অ্যান্টিগায় বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। টস জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারি🤪বিয়ান দলনায়ক শাই হোপ শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান লিয়া♛ম লিভিংস্টোনের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডকে।
ইংল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কোনও রকমে ২০০ টপকে অলআউট হয়ে যায়। তারা ৪৫.১ ওভারে ২০৯ রান সংগ্রহ করে। ক্যাপ্টেন লিয়াম নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। তিনি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন।🐭 ৪৯ বলের ইনিংসে লিভিংস্টোন ৩টি চার ও ২টি🌼 ছক্কা মারেন।
এছাড়া ৫৬ বলে ৩৭ রান করেন স্যাম কারান। তিনি ২টি চার মারেন। জেকব বেথেল ৩৩ বলে ২৭ রান করেন। মারেন ৩টি চার। ফিল সল্ট ১৮, উইল জ্যাকস ১৯, জর্ডন কক্স ১৭ 💞ও আদিল রশিদ ১৫ রানꦉের যোগদান রাখেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের༺ হয়ে ১০ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন গুড়াকেশ মোতি। ৮ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন জয়ডেন সিলস। ৯ ওভারে ৪৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ম্যাথিউ ফোর্ড। ৮.১ ওভারে ৪৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন আলজারি জোসেফ।
বৃষ্টির জন্য বিস্তর সময় নষ্ট হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের টার্গেট বদলে যায়। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ৩৫ ওভারে ১৫৭ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫৭ র⛦ান সংগ্রহ করে নেয়। অর্থাৎ, ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়ম🌺ে ৫৫ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অল্পের জন্য শতরান হাতছাড🌠়া করেন এভিন লুইস। তিনি ওপেন করতে নেমে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ৬৯ বলের মারকাটারি ইনিংসে লুইস ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। ৫৬ বলে ৩০ রান করেন অপর ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। তিনি ৩টি চার মারেন। ২০ বলে ১৯ রান করে নট-আউট থাকেন কেসি কার্টি। তিনি ২টি চার মারেন। ১০ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শাই হোপ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ম্যাচের সের🐽া ক্রিকেটা🧜রের পুরস্কার জেতেন গুড়াকেশ মোতি।