দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। রোববার (২৮ জুলাই) বেলা ৩টা থেকে মুঠোফোনে ফোর-জি ইন্টারনেট চালু হয়েছে। তবে সোমবার দুপুর থেকে ফোর-জি মোবাইল ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলছে। ফোর-জি নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্যবহারে যে গতি সাধারণভাবে পাওয়ার কথা, তা মুঠোফোনে পཧাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
কেন মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে গেল, এ ব্যাপারে একটি সংবাদমাধ্যমকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, “এটা একটু বিটিআরসিকে জিজ🐠্ঞেস করতে হবে। এর কোনো টেকনিক্যাল (কারিগরি) কারণ আছে কি না। এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা এর ব্যাখ্যা দিত♉ে পারবে।”
এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আসলে গতি (মোবাইল ইন্টারনেটের) কম থাকার কথা নয়। হয়তো কেউ কেউ কোথাও স্পিড (গতি) ক♓ম পাচ্ছে, বলে জানা গেছে। আর একটা বিষয় সবার মাথায় রাখতে হবে, মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নিয়ে এর আগেও মানে ঘটনাপ্রবাহের আগেও অভিযোগ যে ছিল না, তা কিন্তু না। আমরা চেষ্টা করছি সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের গতি ঠিক রাখার। এর আগেও চেষ্টা করেছি, এখনো করছি। এখন তো কিছু কারিগরি বিষয়ও (টেকনিক্যাল ইস্যু) দাঁড়িয়ে গেছে। গুগল ক্যাশ বন্ধ ছিল, এখন সেটা হালানাগাদ করতে ওরা ব্যান্ডউইড্থ নিচ্ছে। আমাদের প্রচুর ক্যাশ সার্ভার আছে, বাংলাদেশে এ সংখ্যা চার হাজারের বেশি। এর মধ্যে গুগলেরই আছে অর্ধেকের বেশি। ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডউইডথের ওপর প্রভাব পড়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রয়েছে বলে ব্যান্ডউইড্থ কম লাগছে, বিষয়টি তা নয়। সেগুলোও ভিপিএনের (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে কেউ কেউ ব্যবহার করছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাচ্ছে। তবে গতি পাচ্ছে না এমন শোনা যাচ্ছে না। কেউ কেউ হয়তো পাচ্ছেন না। আমাদের দিক থেকে কোনো গতি কমানো হয়নি।”