টুইটারের সিইও পদে থাকবেন কিনা জানতে চেয়ে টুইটারে ভোটের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্ক। ৫৭.৫ শতাংশ মানুষ তার সরে যা💧ওয়ার পক্ষে 🅺রায় দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বলেছেন, কাজ সামলানোর মতো বোকাসোকা লোক পেয়ে গেলেই টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়বেন তিনি।
বিবিসি জানায়, এই ভোটের ফল মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হয়েছিল ভোটের ফল জা🥂নার পর তৎক্ষণাৎ ক্ষমতা ছাড়বেন ইলন। তবে সেটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। টুইটার হাতে নেওয়ার পর নানা বিতর্কে তিনি নিজেও জড়িয়েছেন, জর্জরিত করেছেন টুইটারকেও। তার কার্যক্রমের কারণে সমালোচনা যেন তার পিছু ছাড়ছে না।
এক টুইটে ইলন মাস্ক জানান, সিইও পদ ছাড়ার পর টুইটারের সফটওয়্যার আর সার্ভার সিস্টেম পরিচালনায় থাকবেন তিনি। গত অক্টোবরে টুইটার কিনে নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানট♐ির প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করেছেন তিনি।
প্রযুক্তি ব্যবসায় দারুণ সাফল্য পাওয়া ইলন মাস্ক তার টেসলা ও স্পেসএক্স কোম্পানির কারণে বಞেশ সমাদৃত ছিলেন। এই দুটো উদ্যোগ তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তিনি এনেছেন নতুন মাত্রা। তার আরও বেশ কয়েকটি উদ্যোগ পৃথিবীর প্রযুক্তিকে নিয়ে যাবে বহুদূর। তবে টুইটারের ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরেই বিতর্ক যেন তার পিছু ছাড়ছে না।
বꦏিবিসি জানায়, মাস্ক তার টুইটারের ১২ কোটি ফলোয়ারের কাছে ভোট চেয়ে প্রশ্ন করেছেন, “টুইটার প্রধানไ পদ থেকে আমি কি সরে যাব? ভোটের রায় মানব আমি।”
এই ভোটের আগে মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, টুইটারের বড় কোনো নীতিগত পরিবর্তনের আগে ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবার ভোট শুরু হওয়ার পরে বেশিরভাগ মানুষ তার সরে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিলে এক পোস্টে তিনি বলেন, “যা চাইবেন ভেবে চিন্তে চাইবেন✅, চাওয়া পূরণ হয়ে যেতে পারে।”
এর আগে টুইটারে সাংবাদিক নিষিদ্ধ করার ঘটনায় গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মাস্কের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়। ইইউ এর পক্ষ থেকে টুইটারকে জরিমানা ও বিচারের আওতায় আনারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তা๊দের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেন মাস্ক। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই টুইটার প্রধানের পদে থাকবেন কিনা জানতে চেয়ে ভোটের আয়োজন করলেন মাস্✅ক।