দরজায় কড়া না♕ড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার চূড়ান্ত করছে রাজনৈতিক দলগুলো। ভো🔴টারদের আকৃষ্ট করতে ইশতেহারে থাকছে নানা রকম প্রতিশ্রুতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের শরিকরাও নিজেদের ইশতেহার ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত ১৫ বছরে মহাজোটের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি দলীয় আদর্শ, দুর্নী🐈তি বিরোধী অবস্থান ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে আনার কথা থাকবে এসব দলের ইশতেহারে।
১৪ দলীয় জ𒉰োটের শরিক দলগুলোর ইশতেহারে বিগত দিনের উন্নয়নসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি থাকবে। পাশাপাশি জোটের বাম দলগুলো গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়, দুর্নীতি-লুটপাট-দলীয়করণ থেকে মুক্তি, জনদুর্ভোগ লাঘব, অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে পুরো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথাও বলা হবে বলে জানান দলীয় প্রধানরা।
এছাড়া থাকবে মত প্রকাশের স্বাধীন🎐তা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “শ্🦩রমিক, গরিব এবং কৃষকদের অর্থনীতিতে যে কোণঠাসা অবস্থা- সেখান থেকে তাদের বের করে আনা একটি ব💧ড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার করার চেষ্টা করছি।“
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সভাপতি রাশেদ খান মেনন জানান, দেশে যে বৈষম্য রয়েছে তা কমিয়ে আনার জন্য তার🐓া কাজ করবে൩ন।
অসাম্প্রদায়িক সমাজ, নারীর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাসহ দলীয় আদর্শকে তুলে ধরা হবে ইশতেহারে, জানান তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। নারীর ক্ষমতায়ন এবং ❀স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি।”
সরকারের উন্নয়নের কথাই ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় জাতীয় পার্টি (জেপি)। দলের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, “আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা সরকার জাতির জন্য যথে♕ষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে জিনিসপত্রেরꦇ দাম একটা বড় বিষয়।”
সবার ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা প্রতি൲শ্রুতির সমꦛন্বয় ঘটবে বলে জানান নেতারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ভো𒉰টগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।