সরকারি কর্মচার✨ীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে, না দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশা🐎সন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। তিনি বলেছেন, “সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দিতে একটি সহজ ফরম তৈরি, জমা দেওয়ার সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকꦓালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে ১৫ লাখ কর্মচারী রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছ꧑েও ৪০০ কোটি ৯০০ কোটি বা এমন বড় বড় সম্পদ 🅷পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে মোখলেস উর রহমান বলেন, “সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে শুধু কর্মকর্তাদের কথা বলা হতো। কিন্তু দেখা গেছে যারা আয়কর দেয় না এমন অনেক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছেও অনেক অবৈধ সম্পদ।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, “সম্পদের হি♉সাব জমা না দিলে কী হবে সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেবো, দণ্ডটা কী হবে। জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। খবরটা কি সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেবো, তখন বলে দেবো।”
মোখলেস উর রহমান বলেন, “যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশ করবে সরকারি কর্মচারীদের (স্থাবর ও অস্থাবর) সম্পদের হিসাব দেওয়ার প্রক্রিয়া কীভাবে হবে। পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে দেশে সব সরকারি অফিসে সবার জন্য ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। সব মিলে ১৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা 🅷দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব জমা দেജওয়ার বিধান চালু করা হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এ এটি যুক্ত করা হয়।
সেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের 🌜প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নিজ দপ্তরে জমা দিতে হবে। তবে ২০০২ সালে ওই বিধিমালা সংশোধন করে এক বছরের পরিবর্তে প্রতি পাঁচ বছর পর পর কর্মচারীদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। কিন্তু ৪ দশক ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি প্রতিপালন করা যায়নি। এ ইস্যুতে এবার নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।