ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অব✃সরে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ꦡঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মো. মতিউর রহমান (পরিচিতি নম্বর-৩০০০৬০), কমিশনার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ-এ সংযুক্ত এর চাকর💜িক🌱াল ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হওয়ায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৪(১) ও ধারা-৫১ অনুযায়ী আগামী ২৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সরকারি চাকরি হতে অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা (অবসর উত্তর ছুটি, লাম্পগ্র্যান্ট এবং পেনশন) ব্যতীত অবসর (ঐচ্ছিক) প্রদান করা হলো।
মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠ𝔉ে আসে।
এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলেꦺর দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাꩲংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
আলোচিত মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করছে। গত ৪ জুন তার ব꧃িরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
গত ২৪ জুন ꦯমতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালꦏত।
আর গত ২ জুলাই মতিউর ও তার দুই স্ত্রী ও ২ সন্তানেꦚর সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দিয়েছিল। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সꦉদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।
অনুসন্ধান পর্যায়ে গত ১১ জুলাই ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। তার আগে গত ৪ জুলাই মতিউর ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত।