উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না উল্লেখ করে রায় দিয়েছেন হা𝕴ইকোর্ট।
বুধবার (২৯ ম꧅ার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্🦄টার আজমালু𓆏ল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনয়নসহ অন্যান্য 🦋ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সম্বলিত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্তকেও অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। সরকা♚রি অর্থায়নে পরিচালিত উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা সংক্রান্ত পরিপত্রের বিষয়ে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওই রুল জারি করা হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ ১৫ বিবাদীকে জবাব দিতে বলা হয়।
রিটকারী পক্ষের কৌসুলি ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, মাঠ প্রশাসন কোনো চিঠিপত্র লিখলে বা অনুষ্ঠান করলে দাওয়াতপত্র বা ব্যানারে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লিখছে। এর মাধ্যমে ইউএনওরা স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এ ছাড়া সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো কমিটি গঠন করা হয় তার সবগুলোতে ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হয় এবং উ🦋পজেলা চেয়ারম্যানদের করা হয় উপদেষ্টা।
ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম আরও বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত♚্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এমনি অনেক ক্ষেত্রে আয়-ব্যায়ের হিসাবও তাদের দেওয়া হয় না। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরি🀅পন্থী।