অস্ট্রেলিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত♓ তিন দশকে একবারও সফরে আসেননি বাংলাদেশে। আগামী ২১ মে দুই দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে আসছেন অস্ট্রেল🌠িয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।
সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পেনি ওং। পাশাপাশি প্রধানমন্তꦬ্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করব🅷েন। এছাড়া তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্প্রসারণ হয়েছে। অন্যদি🍎কে, ভারত মহাসাগর অঞ্চল নিয়ে নীতি আর মনোভাবের পরিবর্তন করেছে অস্ট্রেলিয়া। মূলত, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ বেড়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস পেন সুনীল অর্থনীতিবিষয়ক একটি বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন, তবে সেটি দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। তবে তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রূপান্ত꧅র শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কূটনীতিকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ছাড়াও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থানের কারণে বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া﷽র সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক দু𒉰ই পক্ষের জন্য লাভজনক হবে।
এদিকে, প্রায় তিরিশ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্𝔍ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফরে আসার বিষয়টিকে বাংলাদেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। কূটনীতিকরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তার🍎ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য এখন ভালো সময়।