বিদেশ গমনে সবচেয়ে বেশি দালালের ব্যবহার করেন📖 সিলেট বিভাগের অভিবাসীরা। এই বিভাগের মোট অভিবাসীর ৫৮ দশমিক ৫৩ শতাংশই বিদেশে গেছেন দালালের মাধ্যমে। আর সবচেয়ে কম দালালের ব্যবহার করেন বরিশাল বিভাগের অভিবাসীরা। বরিশালের ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ অভিবাসী দালালের মাধ্যমে বিদেশে যান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত ৫ জুন প্রকাশিত ‘রিপ👍োর্ট অন সোশিও-ইকোনমিক অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক সার্ভে ২০২৩`-এ বলা হয়েছে, রংপুর ছাড়া বেশিরভাগ বিভাগে অভিবাসন খরচের জন্য দালালদের ওপর ব্যাপক নির্ভর করতে হয়। রংপুর বিভাগের সর্বোচ্চ ৫৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিবাসন খরচ দিয়েছে। খবর টিবিসের।
জরিপ অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের পরেই রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগের ৫৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অভিবাসীই দালালের মাধ্যমে গেছে বিদেশে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগের অভিবাসীদের ৪৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ ব্যবহার করেඣছেন দালালদের।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের ৫২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ তাদের অভিবাসন খরচ দিয়েছেন দালালদের। এসব অভিবাসীর মধ্যে সবেচেয়ে সংখ্যক হলেন গ্রামাঞ্চলের। যেখানে ৫৩ দশমিক ১০ শতাংশ অভিবাসী দালালদের অভিবাসন খ♎রচ দিয়েছেন। আর শহরাঞ্চলে এ হার ৪৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।
অভিবাসন ⛦বিশেষজ্ঞরা বলছেﷺন, শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের সম্পৃক্ততা দরিদ্র কর্মীদের খরচ বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় কর্মীরা বিদেশে গিয়েও প্রতারিত হন। অনেক সময় নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসেন।
তথ্যমতে, এমন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই গেল বছরে বিদেশে গেছেন ১৩ লাখেরও বেশি কর্মী। অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য চেষ্টা করছে সরকার। সে🥂ই সঙ্গে চড়া অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে দালালদের আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।