• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ইলিশ নিয়ে রাজনীতি, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়


জাহেদুল ইসলাম আরিফ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
ইলিশ নিয়ে রাজনীতি, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়
ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতন হওয়া শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দুর্গাপূজা এলেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব🍸িশেষ উপহার হিসেবে পদ্মার ইলিশ যেত ভারতে। খুশি হত ভারত সরকার। চড়া দামে বাংলাদেশ কেউ খেতে না পারলেও পদ্মার ইলিশের ঘ্রাণ ছড়িয়ে ꦚপড়ত কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে। যা শেখ হাসিনার ইলিশ কূটনীতি হিসেবে পরিচিতি পায়।

তবে বিগত সরকারের পতনের পর অন্তরবর্তীকালীন সরকার ‘শেখ হাসিনার ইলিশ কূটনীতি’ একেবারেই বাতিল করে দেয়। দায়িত্ব পেয়েই গত ১১ অগাস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার 🌠বলেন, “দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।” মৎস উপদেষ্টার এমন ঘোষণায় সামাজিক মাধ্যমে উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান নেটিজেনরা। যদিও দুর্গাপূজা ঘিরে পাতে ইলিশ না পাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় ভারত।

তবে হঠাৎ করেই শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের🦂 এমন উল্টো সিদ্ধান্তে রীতিমতো ঝড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

নেটিজেনরা করছে পক্ষে-বিপক্ষে বিরূপ মন্তব্য। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন সরকারকে, ইলিশ দেয়া 𝕴হবে না বলেও কীভাবে যাচ্ছে ইলিশ!

ফেসবুকে নুরনবী সৌরভ নামের একজন লিখেছেন, “যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ। অযথা, মানুষের সিম্পেথি আদায়ের জন্য মিডিয়ার সামনে এসে ‘ভারতে এবার ইলিশ যাবে না’ বলে স্টে⛄টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। ভারত আমাদের বন্ধু, এদের ৫০০ কেন ৩০০ টন দিতেই পারি, বিনিময়ে তারা আমাদের ফেলানি, আর স্বর্ণাদের লাশ তো প্রতি বছর দেয়ই, সাথে ইলিশ পালার জন্য পানি তো আছেই।”

আব্দুল আলী নামের আরেক ফেসবুক ব্যাবহারকারী লিখেছেন, “বিচ্ছেদের কথা বলিয়া ইহা কি করিয়া বসিল? আবারও প্রেম 🌃শুরಌু!”

গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “ভারতে ৩ হাজার টন ইꦏলিশ রপ্তানির অনুমতি দিল সরকার। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর বলেছিলাম। ভু෴লে না যাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতার শিক্ষার্থী বন্ধুরা কীভাবে ফুঁসে উঠেছিল। বন্ধুদের পুজো দুর্দান্ত হোক ...”

এদিকে, গত ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর করা ড. আসিফ নজরুলের এক স্ট্যাটাসকে ঘিরেও ব্যাপক সমালোচনা তৈꦍরি হয়েছে। রুশা নুর নামের এক ফেসবুক ব্যাবহারকারী লিখেছেন, “স্যার যদি জানতো ১০০/২০০ না ৩০০০ টন ইলিশ যাচ্ছ🔴ে তাহলে অবশ্যই এর প্রতিবাদ করতেন।”

সামির উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, “ওহ হো স্যার! আমাদের ড. আ♋সিফ নজরুল স্যার। বেঁচে থাকলে এবারও কড়া সমালোচনা করতেন ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানিতে, ইশ যদি বেঁচে থাকতেন।” জাফর ইকবাল নামে একজন লিখেছেন, “স্যারের প্রতি সম্মান আরও বেড়ে গেলো!!!”

আলামিন এম. তৌহিদ নামের একজন লিখেছেন, “কে বলল ইলি♔শ জাতীয় মাছ, এটা আসলে একটা পলিটিক্যাল মাছ।” জাহিদ হাসান সবুজ নামে একজন লিখেছে🃏ন, “যাচ্ছে ইলিশ আসছে পেঁয়াজ। যুগের পরে যুগ কেটে যায় মানুষ খাওয়া ছাড়ে না!...”

অবশ্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক সরব বাংলাদেশ 🍎থেকে ইলিশ পাঠানোর চড়া খবরে। প্রচারও করছে ঢালাওভাবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি২৪ঘণ্টা শিরোনাম করেছে, “পুজোর জবর খ💮বর! গলল বরফ, পদ্মার তাজা ইলিশ পড়বে পাতে।”

প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও ইলিশ চেয়ে ১১ সেপ্✨টেম্বর চিঠি দেয় ভারত। সেই চিঠির💞 প্রেক্ষিতেই ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্ব🌞র) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, দূর্গাপূজা উপলক্ষে রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠিতে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের পর থেকে প্রতিবছর গড়ে ৫ হাজার টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হচ্ছﷺিল। তবে ২০১২ সালের পর থেকে রপ্তানি অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার গত পাঁচ বছর ধরে কেবল দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ যাচ্ছিল।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!