ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতন হওয়া শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দুর্গাপূজা এলেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার হিসেবে পদ্মার ইলিশ যেত ভারতে। খুশি হত ভারত সরকার। চড়া দামে বাংলাদেশ কেউ খেতে না পারলেও পদ্মার ইলিশের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ত কলকাতা, চেন্নাই,🐽 দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে। যা শেখ হাসিনার ইলিশ কূটনীতি হিসেবে পরিচিতি পায়।
তবে বিগত সরকারের পতনের পর অন্তরবর্তীকালীন সরকার ‘শেখ হাসিনার ইলিশ কূটনীতি’ একেবারেই বাতিল করে দেয়। দায়িত্ব পেয়েই গত ১১ অগাস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।” মৎস উপদেষ্টার এমন ঘোষণায় সামাজিক মাধ্য✅মে উ🔜পদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান নেটিজেনরা। যদিও দুর্গাপূজা ঘিরে পাতে ইলিশ না পাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় ভারত।
তবে হঠাৎ করেই শনিবার𒊎 (২১ সেপ্টেম্বর) আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের এমন উল্টো সিদ্ধান্তে রীতিমতো ঝড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনরা করছে পক্ষে-বিপক্ষে বিরূপ মন্তব্য। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন ♚সরকᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚারকে, ইলিশ দেয়া হবে না বলেও কীভাবে যাচ্ছে ইলিশ!
ফেসবুকে নুরনবী সৌরভ নামের একজন লিখেছেন, “যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ। অযথা, মানুষের সিম্পেথি আদায়ের জন্য মিডিয়ার সামনে এসে ‘ভারতে এবার ইলিশ যাবে না’ বলে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। ভারত আমাদের বন্ধু, এদের ৫০০ কেন🐽 ৩০০০ টন দিতেই পারি, বিনিময়ে তারা আমাদের ফেলানি, আর স্বর্ণাদের লাশ তো প্রতি বছর দেয়ই, সাথে ইলিশ পালার জন্য পানি তো আছেই।”
আব্দ🎃ুল আলী 𒈔নামের আরেক ফেসবুক ব্যাবহারকারী লিখেছেন, “বিচ্ছেদের কথা বলিয়া ইহা কি করিয়া বসিল? আবারও প্রেম শুরু!”
গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ⭕্তানির অনুমতি দিল সরকার। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর বলেছিলাম। ভুলে না যাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতার শিক্ষাꦰর্থী বন্ধুরা কীভাবে ফুঁসে উঠেছিল। বন্ধুদের পুজো দুর্দান্ত হোক ...”
এদিকে, গত ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কꦜরা ড. আসিফ নজরুলের এক স্ট্যাটাসকে ঘিরেও ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে।ꦇ রুশা নুর নামের এক ফেসবুক ব্যাবহারকারী লিখেছেন, “স্যার যদি জানতো ১০০/২০০ না ৩০০০ টন ইলিশ যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই এর প্রতিবাদ করতেন।”
সামির উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, “ওহ হো স্যার! আমাদের ড. আসিফ নজরুল স্যার। বেঁচে থাকলে এবারও কড়া সমালোচনা করতেন ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্ত🧔ানিতে, ইশ যদি বেঁচে থাকতেন।” জাফর ইকবাল নামে একজন লিখেছেন, “স্যারের প্রতি সম্মান আরও বেড়ে গেলো!!!”
আলামিন এম. তৌহিদ নামের একজন লিখেছেন, “কে বলল ইলিশ জাতীয় মাছ, এটা আসলে একটা পলিটিক্যাল মাছ।” জাহিদ ♒হাসান সবুজ নামে একজন লিখেছেন, “যাচ্ছে ইলিশ আসছে পেঁয়াজ। যুগের পরে যুগ কেটে যায় মানুষ খাওয়া ছাড়ে না!...”
অবশ্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক সরব বাং𒐪লাদেশ থেকে ইলিশ পাঠানোর চড়া খবরে। প্রচারও করছে ঢালাওভাবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি২৪ঘণ্টা শিরোনাম করেছে, “পুজোর জবর খবর! গলল বরফ, পদ্মার তাজা ইলিশ পড়বে পাতে।”
প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজা ঘিꦰরে প্রতি বছরের মতো এবারও ইলিশ চেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় ভারত। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত🐎্রণালয়।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, দূর্গাপূজা উপলক্ষে রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তা🧸নির অনুমোদন দেওয়া হলো।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠিতে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের পর থেকে প্রতিবছর গড়ে ৫ হাজার টন𓆉 ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হচ্ছিল। তবে ২০১২ সালের পর থেকে রপ্তানি অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার গত পাঁচ বছর ধরে কেবল দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ যাচ্ছ෴িল।