বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ এমনিতেই কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ🥃্যাসোসিয়েশ𒆙নের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
শনিবার (৮ জুন) ২০২৪-২𒆙৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বি✤টিএমএর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “ব্যাংক যখন সরকারকে ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাবে, তখন আমাদের দিতে চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। এতে করে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। আপনারা দেখেছেন, বিগত বছরগুলোতে এমনিতেই বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছেܫ।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পলিয়েস্টার ফাইবার (পিএসএফ) ও পেট চিপস (টেক্সটাইল গ্রেড) উৎপাদনে ব্যবহৃত দুটি কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ১০-২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে। এগুলো নিঃসন্দেহে শিল্পের জন্য সহায়ক। তবে বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে যেগুলো বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে না বলে আমরা মনে করছি। যেমন, স্টিল বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত 🌊বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে নির্ধারণ ♏করার প্রস্তাব; অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রীর আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ থেকে এক শতাংশ নির্ধারণ; জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশের প্রস্তাব; নতুন বন্ড লাইসেন্স ফি ৫০ হাজার টাকার স্থলে এক লাখ টাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকার স্থলে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, “আপনারা জানেন যে, কোভিড মহামারি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভূ-রাজনৈতিক কারণে সৃষ্ট বিশ্বমন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। একই সঙ্গে পণ্যের দরপতন হয়েছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় পাঁচ বছরে দফায় দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিল্প একটি সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমাদের পো🃏শাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। শুধু মে মাসেই কমেছে ১৭ শতাংশ। আমরা মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়েছি, কিন্তু আমাদের মূল্য বাড়েনি। বরং গত ৯ মাসে আমাদের প্রধান পণ্যগুলোর দরপতন হয়েছে ৮-১৮ শতাংশ।”