গায়ে ফুলহাতা শার্ট, পরণে লুঙ্গি। পায়ে জুতা নেই। নেই ঘুমানোর মতো পরিবেশ। তারপরও সারাদিনের ক্লান্তিতে দুই গরুকে পাশে রেখেই ঘুমিয়ে গেছেন ব্যবসায়ী। পাশেই জেগে জেগে মালিককে পাহারা দিচ্ছে গরু দুটো। পশুর হাটের এমন দৃশ্য হৃদয়ে নাড়া দেয়।♎ মালিকের প্রতি পশুর মায়া আর অফুরন্ত ভᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚালোবাসাই যে ফুটে ওঠে। অন্যদিকে, বাইরের জেলা থেকে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে আসা ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগের সাক্ষীও ছবিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিবছরই ব্যবসায়ীরা আসেন রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে। নানা ভোগান্তিকে সঙ্গী করে শত শত মাইল পার হয়ে একটু💦খানি লাভের আশায় তারা আসেন কোরবানির পশু বিক্রি করতে। তবে হাটে এসে তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। মাথা গোজার ঠℱাঁই হয় না হাটে। নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে ক্লান্তি রাত কাটে নির্ঘুম। না মেলে ভালো পরিবেশ, না মেলে ভালো কোনো খাবার।
যেটুকু মেলে সবই হাট কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনের দয়ায়। রাজধানীবাসীকে কোরবানির গরুর জোগান দেওয়া ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতিবছর হাট ইজারাদারকে ভালো ব্যবস্থাপনার অনুরোধ করা হলেও কোনো সাড়া পান না। অথচ ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করে মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে হাট ইজারাদাররা প্রতিবছরই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। শুধু তাই নয়, অতি মুনাফা꧑র লোভে এক হাটের গরু তারা জোর করে অন্য হাটেও নেন। মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা মাঠে থাকলেও রাজধানীর বাইরের ব্যবসায়ীরা সুফল পান না।
বরিশাল থেকে রাজধানীর দিয়াবাড়ী হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারের কোনো প্রশ্ন নেই হাটের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে। তবে অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে। আব্দুর সাত্তার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ঈদে ঢাকায় পশুর হাটে এলে থাকা-খাওয়ার কোনো ভালো ব্যবস্থা থাকে না। রাতে হাটের এক কোণায় কোনোমতে ঘুমিয়ে বা আধাঘুমে রাত কাটাতে হয়। সিটি করপোরেশনের পক্ষ কোনো ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি। তারা শুধু পশু বিক্রি থেকে টাকা পা💮ওয়ার দিকেই দৃষ্টি রাখেন। রাজধানীর হাটে গরু নিয়ে এসে কোনো লাভ থাকে না।”
ব্যবসায়ী সাꦐত্তারের অভিযোগ, ওয়াসার লাইনের পানি ব্যবহার করে গোসল করা গেলেও রাতে ঠিকমতো ❀ঘুম হয় না। শান্তিমতো না ঘুমালে সারা দিন হাট ধরা, বেচাবিক্রি করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অথচ বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করছেন ইজারাদাররা। এ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও করার কিছু নেই। তাদের তো গরু বিক্রি করেই ফিরতে হবে।
রাজ্জাক নামের আরেক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গরু আনা থেকে ঈদ পর্যন্ত আমাদের থাকার মতো খুব বেশি সুবিধা থাকে না। কোনোরকম একটা কাপড়ের নিচে গো-খাদ্যের ছালা কিংবা গরুর ঘাস বি෴ছে দিয়ে রাতে শুয়ে থাকি। কেউবা গরুর পাশেই শুয়ে থাকে।”
হেলাল উদ্দিন নামের আরেক ব্যবসায়ী বললেন, “প্রতি বছরই ইজারাদের পক্ষ থেকে কোনোমতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ঝড়-বৃষ্টি এলে খুব কষ্ট করতে হয়। বাধ্য হয়েই থাকতে হয় আমাদের। তাছাড়া যারা ঢা🐓কায় গরু নিয়ে আসেন তাদের জন্য ভালো কোনো সুবিধা থাকে না।”
হেলাল আরও বলেন, “পরশু রাতে ঢাকায়♑ বৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে রাত কাটিয়েছেন। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে সুযোগ সুবিধা আর থাকার ভালো কোনো পরিবেশ না করলে ব্যবসায়ীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। তখন ঢাকাবাসীর জন্য কোরবানির গরুর দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।”