ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ডিবি থেকে ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে বদলি করা হয়েছে। বহু বিতর্কের জন্ম দেয় আলোচিত ‘হারুনের ভাতের হোটেল’। গুঞ্জন উঠেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
তবে সে বিষয়েও নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। অবশ্য এর আগে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান বলে খবর চাউর হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখেমুখে ‘ভাতের হোটেল’-এর হারুনের কথা জানতে চান। রাত ৯টা পর্যন্ত হারুন কোথায় আছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে যুগান্তর জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের খবর জানার পর শাহবাগে লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর আগে হারুন দিনভর পুলিশ প্রধানের সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর পাওয়ার পর থেকে ওয়্যারলেসে তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি। শেষে দুপুরে ডিবির হারুন পুলিশ সদর দফতর থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তিনি পুলিশ সদর দফতরের পূর্ব পাশে থাকা সিটি করপোরেশনের সীমানা দেয়াল টপকে সেদিকে চলে যান। পরে তিনি নরমাল পোশাক পরে জনসাধারণের বেশে এখান থেকে বেরিয়ে যান।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হারুন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বের হয়ে সোজা চলে যান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। এ সময় সেনা সদস্যরা তাকে আটক করেন। তবে সেখান থেকে তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। এমন খবর সারা দিন বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জানার হলেও সর্বশেষ সত্যটা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সর্বশেষ ꦓবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল ও তাদের বাসাবাড়ি থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে ডিবি অফিসে আটকে রাখেন। কয়েক🔯দিন তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের পর খাবার টেবিলে বসিয়ে ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন। একইদিন রাতে হারুন সমন্বয়কদের একটি ছোফায় বসিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ভিডিও রেকর্ড করে গণমাধ্যমে পাঠান।