• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২১ ভাদ্র ১৪৩১, ৩০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বিদায় নিচ্ছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
বিদায় নিচ্ছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল

আড়াই বছরেই বিদায় নিচ🌱্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৫  সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ 🦋সম্মেলন করে পদত্যাগ করবেন তারা। 

ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গ𝔉ে দেখা করতে যাবেন বলেও জান🐼া গেছে।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়🍌র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

তারা নিয়োগের এক দিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীরღ কাছে শপথ নেন। ওই কমিশনের অধীনেই ♉দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনটি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করে। ভোট শেষে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈ🏅তিক দলগুলো সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আউয়াল কমিশন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো নির্বাচন কমিশনেও সংস্কার আসছে এটি নিশ্চিত বলে মনে করছেন তারা। সে জন্য বেশ কয়েক দিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা অফিস করল🦄েও তাদের বিদꦡায়ের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পায়। শেষ সময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নেন তারা।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর ৩ দফায় নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদকাল সম্পর্কে বলা 𒆙হয়, কোনো নির্বাচন কমিশনারের পদের মেয়াদ তার কার্যভার গ্রহণের তারিখ হতে পাঁচ বছর হয়ে থাকে। সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ সম্পর্কে একই (১১৮) অনুচ্ছেদের দফা ৫-এ বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক যেরূপ পদ্ধতি ও কারণে অ๊পসারিত হতে পারেন, সেই রূপ পদ্ধতি ও কারণ ছাড়া কোনো নির্বাচন কমিশনার অপসারিত হবেন না।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ সম্পর্কে সংবিধানেরꦺ অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা ২-এ বলা হয়েছে, প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ছাড়া কোনো বিচারককে অপসারিত করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশনার💜দের পদত্যাগ সম্পর্কে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর দফা (৬)-এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে স্বাক্ষর যুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন। এর আগে ১৯৯০, ১৯৯৬ এবং ২০০৬ সালে আন্দোলন অস্থিরতার মধ্যে সর🔜কার পরিবর্তনের পর প্রথমেই নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

Link copied!