আগামী ডিসেম্বরের শেষ সাপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে এবং স🍸রকার পতনের একদফা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে হাই কমান্ডের নির্দেশে 🍨আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচন প্রস্তুতি।
পাশাপাশি বিএনꦚপির একদফা আন্দোলনের বিপরীতে রাজনৈতিকভাবে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠ দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগও। এরমধ্যে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এখন বুধবারꦚের (২আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশের জনস্রোত আর শেখ হাসিনার ভাষণ।
ওই মহাসমাবেশ ছিল জনসমুদ্র। আশপাশের এলাকাগুলো থেকে সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন সমাবে♊শে। অনেকেই অনুমাণ করছেন আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে দুইহাত তুলে দেশবাসির কাছে নৌকায় ভোট চেয়েছেন শেখ হাসিনা। তুলে ধরেছেন তাঁর সরকারের টানা তিন মেয়াদের উন্নয়নের ফিরিস্তি।
সমাবেশে তিনি বলেছেন, নৌকায় ভোট দিয়ে জনগণ দেশের স্বাধীনতা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। জনগণের ভাগ্য পাল্টেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এবং আওয়ামী লীগের চেষ্টায় বাংলাদেশ এ💧গিয়ে যাচ্ছে। মূলত ওই সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের জনসমর্থন ও শক🔯্তির জানান দিয়েছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলকে প্রস্তুত করার অংশ হিসেবে একাধিক তৎপরতা চলছে এখন। 💜পাশাপাশি প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলোর সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে ‘চাপ মোকাবেলা’র চেষ্টাও চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ২৩বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যাল♍য়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “বিদেশি চাপ নয়, বিবেকের চাপ অনুভব করছে আওয়ামী লীগ। ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। যদি বলেন, চাপ, তাহলে সেটা বিবেকের চাপ।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার সাথে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার মাℱন্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদের♔ পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনও আসেননি। তিনি এলেন, দেখে গেছেন।”
সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, এটা ধরে নিয়েই ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ দলের সর্বোচ্চ ফোরামে সভাপতিমণ্ডলীর সর্বশেষ সভায় দলকে নির্বাচনিমুখী করতে বেশি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলের নেতাদের নিজ এলাকায় গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের অপপ্෴রচার এবং সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এমপিদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “নির্বাচনের আর মাত্র ৫ মাস বাকি আছে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য এলাকꦛায় গিয়ে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্তা বাড়ানোরও নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে বুধবার (২ জুলাই) রংপুরের মহাসমাবেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “বদলে যাও💖য়া বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। উন্নয়নশীল দেশ, এরপর উন্নত দেশ। ডেলটা প্ল্যান করে দিয়েছি। সবক্ষেত্রে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আজকের তরুণ প্রজন্মই হবে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আরও উন্নত করবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে ওই সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেন, “২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। আর তা হবে সংবিধান মেনে, অর্থাৎ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে। তবে ২০১৩ সালের মতো এবারও নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠন করা হবে।”