বাঙালির বেদনাবিধুর দিন ‘১৫ আগস্ট’। জাতির পিত𒅌াকে হারানোর শোক এখনও ঢেউ তোলে পদ্মা, মেঘনা যমুনাসহ বঙ্গীয় তটের শিরায়-শিরায়। যে শোকে এখনও কেঁপে কেঁপে ওঠে বাঙালির হৃদয়। যাঁর কথায় বাঙালি দেখেছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে। নতুন প্রজন্মের চোখে আজও ভেসে ওঠে বিশ্﷽বনেতার তর্জনী ছন্দের সেই মহাকাব্য। যে মহাকাব্যের কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির অবিসংবাদিত সেই মুক্তির নেতাকে শোকে-শ্রদ্ধায় আজও স্মরণ করে এ দেশের প্রজন্ম।
মঙ্গল✃বার, ১৫ আগ🐽স্ট, প্রাণের নেতাকে হারানোর সেই শোকাবহ দিন। একে একে শোকের এই ৪৭টি বছর পার করছে বাঙালি জাতি। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকের নির্মম গুলিতে শহীদ হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।
ব﷽র্তম🌳ান প্রজন্মের কাছে এই দিনটি যেন অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা ‘‘যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’’ অমর চরণের মতো গৌরবের । বঙ্গবন্ধুকে হারানোর কষ্ট যেন তাদের মনেও আঁচর কাটে।
বর্তমান প্রজন্ম মনে করে, ‘ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। ঘৃণ্য এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এক নেতাকে। যে ক্ষতি অপূরণীয়। তিনি বেঁচে থাকলে বাঙালি স্মার্ট বাং꧒লাদেশে অনেক আগেই প্রবেশ করতেন।’
রাজধানীর গভর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুলের শিক্ষার্থী নির্ণয় বর্মন বলে, ‘‘আমরা ইতিহাসে পড়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি বাঙালি জাতিকে শোষণ, নীপিড়ন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। জীবনের অনেকটা সময় পরিবারকে ছেড়ে জেলে কাটিয়েছেন। এমন নেতা পাওয়া ইতিহাসে সত্যি বিরল। আমি যা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে গিয়ে আমার চোখে জল চলে এসেছে। ভাবতে অবাক লাগে একজন মানুষ, যার ডাকে রেসকোর্স ময়দান জনসমুদ্🍎রে পরিণত হয়েছিল।”
তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্🔯যালয়ের শিক্ষার্থী জুওয়ারিয়া ইসলাম বলে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর ক্ষতি কখনই পূরণ হওয়ার মত নয়। তিনি বাঙালির জাতির জন্য যে অবদান রেখে গেছেন। তা ইতিহাসজুড়ে গেঁথে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আমরা আজকে ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি। আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন, উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি তিনি থাকলে আমারা আরও অনেক আগেই এই ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করতাম। আমি ধিক্কার জানাই সেই ঘাতকদের। যারা বাঙালি জাতির এই ক্ষতি করেছে।”
বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জান্নাতুম নাঈমা বলে, “জাতির পিতাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়। তিনি একমাত্র বাঙালি জাতিকে দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার পথ। যার এক ডাকে হাজারো বা⛄ঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা করেনি🌟।
প্রতিটি বাঙালি যার কথায় নিজের মনকে উজ্📖জীবি🦹ত করেছিল স্বাধীনতার স্বপ্নে। এমন একজন মহামানবকে হারানো সত্যি কষ্টের। মাঝে মাঝে মনে হয়, “তাকে যদি আবার ফিরে পেতাম। এক নজর দেখতে পেতাম।’ তাকে হারানোর মধ্যে দিয়ে বাঙালির যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়।’’