পিএসসিসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ছেলেসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেꩵদ আলী। বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামে। বাবার ✨নাম মৃত আব্দুর রহমান মীর।
পেশায় কৃষক রহমান মীরের তিন ছেলে এক মেয়ে। তাদের মধ্যে আবেদ আলী মেঝ। বড় ভাই জবেদ আলী পেশায় কৃষক। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছোট ভ🌃াই সবেদ আলী অটোরিকশাচালক। এলাকায় রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তাতেই পরিবার চালান।
কৃষক বাবার যখন মৃত্যু হয় তখন আবেদ আলীর বয়স ৮ ൲বছর। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেই বয়সেই জীবিকার তাগিদে রাজধানী ঢাকায় চলে যান। এরপর সেখানে কুলির কাজ শুরু করেন। পরে এক ব্যক্তির বুদ্ধিতে গাড়ি চালানো শেখেন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট🌱 সংগ্রহ করেন। এরপর গাড়িচালক হিসেবে চাকরি নেন বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকোতে।
১৯৯৭ সালের দিকে ঢাকার ইন্দিরা রোডের পশ্চিম রাজাবাজারের একটি ব্যাচেলর মেসে থাকতেন আবেদ আলী। তা🐈র ছোট ভাই সবেদ জানান, সে সময় আমি মেরাদিয়াতে চানাচুর বিক্রি করতাম। আবেদ থাকতো ইন্দিরা রোডে। সে বেকার ছিল। মাঝে মধ্যেই মেসের খরচের জন্য ৩০০-৫০০ টাকা নিত। তবে শাহিন নামে এক বন্ধুর মাধ্যমে পিএসসিতে চাকরি হওয়ার পর ওই বছরই সে বিয়ে করে। 🌠বিয়ের পরে সে আমাদের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। এখনও তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ হওয়ার পর আবেদ আলী মীর পদবি পাল্টে নামের আগে সৈয়দ পদবꦰি ব্যবহার শুরু করেন। বাবার উত্থান নিয়ে ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামও সম্প্রতি একটি সমাবেশে বাবার উত্থানের গল্প বলেন।
সিয়াম বলেন, আমার বাবা একদম ছোট থেকে বড় হয়েছেন। আমার বাবার বয়স যখন ৮ বছর, তখন পেটের দায়ে ♔তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। ঢাকায় গিয়ে কুলিগিরি করে ৫০ টাকা রুজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এখন তিনি একটি লিমিটেড কোম্পানির মালিক। তিনি কষ্ট করে বড় হয়েছেন।
তবে বেসরকারি এক টিভির অনুসন্ধানে উঠে আসে আবেদ আলীর প্রশ্নফাঁসের ভয়ংকর তথ্য। প্রায় একযুগ আগে থেকে পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের চꦫক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি। আর তাতে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
তবে পিএসসি প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সোমবার (৮ জুলাই) পল্টন থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। সেই মামলাꦡয় পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক 🤡সেই সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলেসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।