নানী-দাদীরা বলেন, ‘ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে চুলের আগা ফেটে যায়। চুল নষ্ট൩ হয়ে যায়। তাই কোনোভাবেই ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো যাবে না।‘ তাদের এই পরামর্শ কতটুকু সত্যি জানেন কি?
অনেকেই রয়েছেন, যারা রাতে ঘুমের আগে গোসল করে নেন। বাইরে থেকে এসেই গোসল সেরে নিচ্ছেন। ঘুমানোর আগে ভেজা চুল আর শুকায় না। সেই ভেজা চুল নিয়েই বিছানায় শুয়ে পড়ছেন। এই অভ্যাস চুলের জন্য কতটুকু উপযোগী, তা নিয়েই অনেকে দ্বিধায় থাকেন। নানী-দাদীদের পরামর্শ অনুযায়ৗ, ভেজা চুল নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার এই অভ্যাসের কার𒀰ণেই চুল অল্পতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই কꦰথার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন রূপবিশেষজ্ঞরাও।
হেয়ার এক্সপার্টদের মতে, ভেজা চুল নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। এতে চুলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। চুল রুক্ষও হয়ে যায়। ঘুমের সময় চুল হালকা ভেজা থাকতে পারে। তবে পুরোপুরি ভেজা রাখা যাবে না। পুরোপুরি ভেজা চুল🃏ে ঘুমালে চুলের গোড়া দুর্বল হতে পারে। যা থেকে চুল পড়া বেড়ে যায়।
হেয়ার এক✃্সপার্টরা আরও জানান, রাতে ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে পরদিন সকালে সেই চুলে জট বেঁধে যাবে। যার কারণে দ্বিগুণ বেশি চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ভেজা চুল হেয়ারড্র𝄹ায়ার দিয়ে অন্তত ৭০ শতাংশ শুকিয়ে নিতে হবে। বাকি ৩০ শতাংশ বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। হেয়ারড্রায়ার অবশ্যই কোল্ড অপশনে ব্যবহার করতে হবে।
ভেজা চুলে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সতর্ক করে হেয়ার এক্সপার্টরা আরও জানান, ভেজা চুলে ঘুমালে চুলে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। যা পরে পুরো মাথায় পড়তে পারে। এতে মাথায়🌞 খুশকির সমস্যা বাড়বে। তাই কোনোভাবেই ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, প্রতি সপ্তাহেꦦ বালিশের কাভার পাল্টে নিতে হবে। বালিশের সুতি কভারে চুল সহজে জট বেঁধে যায়। চুলের আগা ফেটে যায়। চুলের জন্য সিল্ক বালিশের কাভার বেশি উপকারী। যা চুলে জট বাঁধে না এবং চুল ভেঙ্গেও যায় নꦡা।