• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জেন-জিরা কেমন সঙ্গী খোঁজেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
জেন-জিরা কেমন সঙ্গী খোঁজেন
ছবি: সংগৃহীত

আগের দিনে একবার দেখাতেই প্রেম হয়ে যেত। শুধু চোখের দেখা থেকেই কত স্বপ্ন জড়ো হতো। আবেগ, অনুভূতির সংমিশ্রণে প্রেম, ভালোবাসা এমনকি পরিণয়ের দিকেও এগিয়ে যেত সম্পর্ক। যুগ বদলেছে। সম্পর্কের সঙ্গাও বদলেছে। সম্পর্কের মাঝে ঢুকে গেছে আধুনিকায়ন। অর্থাত্ নত🔥ুন প্রজন্মে প্রেম, ভালোবাসা কেবল আবেগ থেকে হয় না। এখানে থাকে বিবেকও। আবেগ, বিবেকের সংমিশ্রণেই সম্পর্ক তৈরি হয়। যার গড়মিল হলেই 🍸সম্পর্ক ভেঙেও যায়। সম্পর্কের এই সমীকরণ তৈরি করেছে নতুন প্রজন্ম জেন জিরা।

বর্তমান সময়ে সবকিছুতেই নিজেদের অংশগ্রহণে বিশেষত্বের পরিচয় দিয়েছে নতুন প্রজন্ম জেন জিরা। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিংবা সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই অন্যরকম। জেন-জিদের অনেকেই এখন পূর্ণবয়স্ক। পড়াশোনা শেষে অনেকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন। সংসারজীবনও শুরু করেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে এখনও অবিবা꧙হিত রয়েছেন, হয়তো সঙ্গীর খোঁজ করছেন। অনেকে আবার সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদও ঘটিয়েছেন। একেক জনের সম্পর্কের স্ট্যাটাস এখন একেক রকম। কারণ তারা প্রেম, ভালোবাসা কিংবা 🍎বিয়ের জন্য সঙ্গী নির্বাচনে বিবেককেও প্রাধান্য দেন। এই সময়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিচুয়েশনশিপ, গোস্টিং, জম্বিং, ড্রাই ডেটিং, ফ্লি-বেগিং, কুশনিং, ব্রেড ক্রাম্বিং, বেঞ্চিং, কাফিং, রিজ, পকেটিং ছাড়াও আরও কত কিছুর কথা শোনা যায়। যা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছেন জেন জিরা।

চলুন জেনে আসি, নতুন প্রজন্ম জেনꦬ জিরা কেমন জীবনসঙ্গী চান? তাদের মনের মতো সঙ্গী হতে কী কী গুণ থাকা চা🐟ই।

ঝামেলা থেকে দূরে থাকা

জেন জিদের মধ্যে এখন সম্পর্কের রকমভেদ হয়। সিচুয়েশনশিপ, গোস্টিং, জম্বিং, ড্রাই ডেটিং, ফ্লি-বেগিং, কুশনিং, ব্রেড ক্রাম্বিং, বেঞ্চিং, কাফিংসহ বিভিন্ন নামের হযবরল সম্পর্কে জড়ান। বিশেষ করে ২২ থেকে ২৩ বছর বয়সীরা এ ধরণের সম্পর্কে বেশি জড়ান। যদিও পরবর্তী সময়ে তারা বুঝতে পারে এমন সম্পর্📖ক থেকে ব✃েরিয়ে আসা উচিত। তবে ততদিনে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা সারা জীবন বয়ে বেড়ায়।

মন খুলে প্রকাশ করতে হবে

‍কথা বলা ও শোনার মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হয়। তবেই তো সম্পর্ক সুন্দর হয়। আরেকজন কী বলছে, তা শোনার চেয়ে নিজে কথা বলতেই বেশি পছন্দ💝 অনেকের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একজনই কথা বলেন। আর অন্যজন শুধু শুনেই যায়। এমন বোঝাপড়া থেকে বেরিয়ে আসতে চান জেন জিরা। তাদের মতে, সঙ্গীকে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে হবে। মন খুলে প্রকাশ না করলে  অন্যের মস্তিষ্কে কী চলছে, তা বোঝা অসম্ভব হবে।

কথা আর কাজে মিল থাকা চাই

বর্তমান সময়ে সম্পর্কগুলোতে গুরুত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। সম্পর্কের শুরুতে নানা রকম মিথ্যা বলে মন জয় করেন অনেকে। সারাক্ষণ কথা বলা, খোঁজ খবর নেওয়া, যত্নশীল হওয়ার অভিনয় করেন। অন্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে প্রকাশ করেন। এটা কতটা সত্যি? তা নিয়েও নিশ্চয়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জেন জিরা। কারণ অনেকেই এই অভিনয়কে সত্যিকার প্রেম 🅺ব💛া ভালোবাসা ভেবে বসেন। একসময় তাদের  হৃদয় ভাঙে। তাই জেন জিরা মনে করেন, কথার সঙ্গে অবশ্যই কাজের মিল থাকা প্রয়োজন। কারো  ব্যবহার ও কাজ দেখে তার মানসিকতা বোঝা সম্ভব।

নিজের মতো হলে ভালো

সবাই চায় নিজের মনের মতো কিংবা ঠিক নিজের মতোই একজন সঙ্গী। যার সঙ্গে তালে তাল মিলে যাবে। কিন্তু একদম নিজের মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এক্ষেত্রে সবটা না মিললেও কিছু বিষয়ে মিলে গেলে তার প্রতি আকৃষ্টতা বাড়ে বলে মনে করছেন জেন জিরা। তাদ𝐆ের মতে, চিন্তা-চেতনা মিলে গেলে সে ভালো বন্ধু ও ভালো সঙ্গী হতে পারে।

সামাজিক হতে হবে

সঙ্গী কতটা সামাজিক যে বিষয়টিও এখন গুণ বলে ধরেন জেন জিরা। কারণ বর্তমান প্রজন্ম স্মার্টফোন, ইন্টারনেটেই ডুবে থাকে। এর বাইরে পরিবার কিংবা অন্যদের সঙ্গে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে মিশতে পারছে, কতটা দায়িত্বশীল হতে পারছে, তা নিয়েও নিশ্চয়তা চান জেন জিরা। কারণ অধিকাংশ মানুষ এখন একা থাকতেই পছন্দ করেন। তাই অন🎶্য পর🙈িবারে গিয়ে কীভাবে সবাইকে আপন করে নেবে কিংবা সবার সঙ্গে মিলেমিশে সম্পর্কগুলোও বাঁচিয়ে রাখবে সে বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বোঝাপড়া থাকা জরুরি

অনেকেই রয়েছে, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকলেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখছেন। জেন জিরা এমন সম্পর্কে থাকতে নারাজ। তাদের মতে, একে–অপরের মধ্যে তেমন বোঝাপড়া না সম্পর্ক ভালো হয় না। এমন সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষ একে–অপরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা ঘাঁটান না। নিজেদের সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন না। এমন সম্পর্কে🍎 বিশ্বাস থাকে না। তাই এটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক নয়। বরং একে অন্যকে বুঝবে, পরস্পর বোঝাপড়া থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে জেন জিরা মনে করেন, অন্যজন আপনাকে বুঝবে কি না সেই চিন্তা বা আশা না করে, আপনারও উচিত হবে অন্যকে বোঝার চেষ্টা করা।

সহজ সম্পর্কাই শ্রেয়

জেন জিরা সহজ সম্পর্কে থাকতে চা𒈔ন। অগভীর কিংবা জটিল সম্পর্ককে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা মনে করেন তারা। অনেকের𓆏 মধ্যে গভীর সম্পর্কে জড়ানোর ভীতি থাকে। তাই তারা হালকা কিংবা গুরুত্বহীন সম্পর্কেই থাকতে চান। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই অন্যের মানসিক পীড়ার কারণ হন।

সবজান্তা হলে ভালো

 ‘জেন-জিদের জ্ঞানের পরিধি বিস্তর। তাই তারা সঙ্গীর থেকেও তেমনটাই আশা করেন। তারা জ্ঞানী সঙ্গীকে বেশি পছন্দ করেন। এমন সঙ্গী চান, যে রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞা🐎ন, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা রাখে এবং তার সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করা যাবে। আবার ঘরকে সুন্দর রাখার সব তরিকাও জানতে হবে।

বিশেষ গুণ থাকা চাই

শুধু লেখাপড়াᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ জানা সঙ্গী♔ই জেন জিদের পছন্দ নয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি যেকোনো অতিরিক্ত বিষয়ে পারদর্শী থাকাও তাদের আকৃষ্ট করে। সঙ্গী যদি গান, নাচ, চিত্রাঙ্কন, মঞ্চ নাটকে অভিনয়, হস্তশিল্প, কুটিরশিল্পের মতো বিষয়ে অভিজ্ঞ হন, তবে সেই গুণটি জেন জিদের বেশি আকৃষ্ট করে। তারা গুণী সঙ্গীকেই বেশি পছন্দ করেন।

 বুদ্ধিমান হতে হবে

এক সময় ছিল, সঙ্গীকে নিজের চেয়ে কম মূল্য দেওয়া হতো। সঙ্গীর বুদ্ধিকে অবহেলার চোখে দেখা হতো। জেন জিরা এক্ষেত্রে একেবারেই ভিন্ন। তারা চান, সঙ্গী বা জীবনসঙ্গীর বুদ্ধি তার চাইতেও বেশি হবে। তারা সঙ্গীর কাছ থেকে 🌱কিছু শিখতে পারলে আরও খুশি হন। বুদ্ধিমান সঙ্গীর উপর তারা আরও নির্ভরশীল হতে পারেন।

Link copied!