‘হাসতে নাকি জানেনা কেউ, কে বলেছে ভাই? এই শোন না ক💜ত হাসির, খবর বলে যাই’ কবি রোকনুজ্জামান খানের লেখা এই কবিতার কথা মনে আছে। ছোটবেলায় সবাই হাসি এই কবিতা পড়েছেন। কবির এই কবিতায় হরেক রকমের হাসির কথা বলা হয়েছে। হাসিতে প্রাণচঞ্൩চলতার কথাও এই কবিতায় জানান দিয়েছেন কবি।
কবিতার এই রেশ ধরে আজকের দিনটি হে👍সেই কাটিয়ে দিন। কেননা ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রোববার দিবসটি পালিত হয়। সেই অনুযায়ী এই বছর দিনটি পড়েছে ৫ মে। সুস্থ জীবনযাপনে হাসির গুরুত্বের𝄹 কথা জানান দিতেই এই দিবসটি পালিত হয়। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হাসির বিকল্প খুব কমই রয়েছে। আর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ভালো থাকে শরীরও।
জানেন কি, কীভাবে শুরু হয় বিশ্ব হাসি দিবস ? কেন পালন হয় দিনটি ? হাসির ব্যায়াম থেকেই এই দিবসের সূচনা হয়। ভারতের ভারতের চিকিৎসক মদন কাটারিয়া দিনটির পরিকল্পনা করেন। তিনি তার রোগীদের হাসির ব্যায়াম করাতেন। নিয়মিত হাসার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি রোগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশাল ভূমিকা রাখে। সেই থেকেই হাসির জন্য একটি বিশেষ দিন উদযাপনের ধারণা আসে। ১৯৯৮ সালে দিবসটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। এরপর থেকেই প্রতি বছর মে মাসের প্🍸রথম রোববার বিশ্বজুড়ে হাসি দিবস পালিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিন নিয়ম করে ১০ মিনিট হাসতে হবে। একে লাফটার যোগা বলে। উচ্চস্বরে ১০ মিনিট হাসলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিশ্বে বর্তমা🍬নে ১১৫টিরও বেশি দেশের এই ব্যায়াম জনপ্রি꧋য়তা পেয়েছে।
বিশেꦏষজ্ঞরা আরও জানান, নিয়ম করে প্রতিদিন হাসলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যাবে। মন ভালো থাকবে। মানসিক চাপ কমবে। নিজেকে হালকা মনে হবে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। সারাদিন কাজ শুরুর আগে এই ব্যায়াম করে নিলে মন ও শরীরের উপর কাজের চাপও পড়বে না। মানসিক চাপের সঙ্গে দুশ্চিন্তা, অস্থিরতাও কমে আসবে।
এছাড়াও নিয়মিত অন্তত ১꧑০ মিনিট হাসলে শরীরের রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখে এবং মেটাবলিজম উন্নত করে। শুধু তাই নয়, ক্যালোরি বার্ন করতেও হাসি উপযোগী ব্যায়াম। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাসলে ৪০ ক্যালোরি ঝরে যায়। তাই সব ভাবনাচিন্তা বাদ দিয়ে প্রতিদিন নিয়ౠমকরে হাসার অভ্যাস করুন।