• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কোরবানি ঈদের আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
কোরবানি ঈদের আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ উল আযহায় পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে আনন্দ উদযাপন করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে পশু কোরবানি হয়। কোরবানির মাংস ༺গরীব অসহায়, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। আবার নিজেদের জন্যও ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয় কোরবানির পশুর মাংস। বাড়িতে অতিথিরা আসেন, আবার ঈদের আনন্দ উদযাপনে দাওয়াত খাওয়ানো হয়। সবমিলিয়ে ঈদের আগে ঘরবাড়িতে নানা কাজ থাকে। গৃহকোণ আর চারপাশ পরিষ্কার করতেই ব্যস্ত থাকেন সবাই। পরিকল্পনামতো কিছু পদক্ষেপ নিলে সহজেই সবকিছু সামলে নিতে🌜 পারবেন। তাই কিছু টিপস জেনে নিন এই আয়োজনে।

  • প্রথমেই ঘরবাড়ি পরিষ্কারের উদ্দ্যোগ নিন। ঘরের ভেতরে ধুলো, ঝুল পরিষ্কার করে নিন। ঘরের পর্দা, বিছানার চাদর ধুয়ে পরিষ্কার করুন। ঈদের আগেই আবার এগুলো লাগিয়ে নেবেন। ঘরের বিছানার জন্য় নতুন চাদর রাখুন। ঈদের দিনটিতে ঘরের শোভা বাড়াবে।
  • কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি কাজ থাকবে রান্নাঘরে। তাই রান্নাঘরটিকে গুছিয়ে নিন। প্রয়োজনীয় সব জিনিস রেখে অপ্রয়োজনীয়গুলো সরিয়ে ফেলুন। রান্নাঘর গুছানো ও পরিষ্কার থাকলে রান্নার কাজ সহজ হয়।
  • কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ফ্রিজের। তাই হাতে সময় থাকতেই ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিন। অনেকের বাড়িতে নরমাল ফ্রিজ এবং ডিপ ফ্রিজ দুটোই রয়েছে। সব ফ্রিজ খালি রাখার চেষ্টা করুন। ফ্রিজে পুরোনো কিছু সংরক্ষণে থাকলে তা শেষ করে ফেলুন। ফ্রিজ খালি না থাকলে কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণ করা যাবে না।
  • কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য় বিভিন্ন সরঞ্জামাদির প্রয়োজন হয়। বছরে অন্তত এই সময় এগুলো দরকার হয় বলে অনেকেই যত্ন করে রেখে দেন। সেগুলোই বের করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখুন। সবকিছু গরম পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • কোরবানির পশুর মাংস রাখা এবং মাংস রান্না করার জন্য় যেসব বড় পাত্র প্রয়োজন সেগুলো আগেই বের করে রাখুন। সাধারণত কোরবানির মাংস রাখার জন্য বড় বড় বারকোশ, প্লাস্টিকের বোল, অ্যালুমিনিয়ামের ডিশ ও ডেকচির ব্যবহার হয়। এই পাত্রগুলোকে ডিশওয়াশিং লিকুইড দিয়ে গরম পানিতে ধুয়ে রাখুন।
  • পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত ছুরিটি ভালোভাবে ধার করে নিন। বঁটি-দা, চাপাতি, মিট হ্যামার, কিমার মেশিন, ব্লেন্ডার বা চপার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কোরবানির আগেই ধুয়েমুছে প্রস্তুত করে রাখুন।
  • রান্নাঘরের মেঝে থেকে তেল চিটচিটে ভাব দূর করা যায় না প্রথম দিনেই। তাই সব কাজ শেষে মেঝে গরম পানি এবং ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে মুছে ফেলা হলেও পরদিন পুনরায় মেঝেটি একই নিয়মে মুছে ফেলুন। ফ্লোর মপগুলোকেও সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
  • বাজার থেকে প্রয়োজনীয় মশলাদি কিনে রাখুন। মাংস রান্নায় সব ধরণের মশলাই বেশি পরিমাণে লাগে। আদা, রসুন, পেয়াজ, কাচা মরিচ, আস্ত গরম মশলাগুলো আগেই রাখুন। ঈদের আগে মশলার দাম বেড়ে যায়। তাই সময় থাকতেই সংরক্ষণ করুন। আদা, রসুন কেটে ব্লেন্ড করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। এতে রান্নার কাজ সহজ হবে।
  • কোরবানির পশুর মাংস বন্টন ও সংরক্ষণের জন্য় ভারী ও টেকসই ধরণের পলিব্যাগের প্রয়োজন হবে। বাজার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কিনে রাখুন। তাছাড়া কোরবানির পর ঘর পরিষ্কারের জন্য ডিটারজেন্ট, স্য়াভলন, চুনসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ আগেই কিনে রাখুন।
  • বাড়ির যে স্থানে কোরবানি পশু রাখা হবে তা আগেই পরিষ্কার করে রাখুন। পশুকে পরিষ্কার স্থানে রাখবেন। যেন পশুর খাওয়া দাওয়া এবং থাকার কোনো সমস্যা না হয়। পশুর সুবিধার্থে ব্যবহার যাবতীয় জিনিস আগেই ব্যবস্থা করে রাখুন।
Link copied!