• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সুখী হতে চাইলে কী করবেন


নাইস নূর
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩, ০১:২১ পিএম
সুখী হতে চাইলে কী করবেন

যান্ꦿত্রিক জীবনে কম-বেশি সবাই অস্থির। সন্তুুষ্ট জীবন যাপনের জন্য সবাই সুখ খোঁজে। জীবনযাপনের সঙ্গে কিছু অভ্যাস যুক্ত করলেই হাতের নাগালে চলে আসতে পারে সুখ। চলুন জেনে নিই, কী কী অভ্যাস বদলে দিতে পারে আপনার জীবন।

হাসি
খুশি থাকলে সবাই হাসে। হাসির ফলে মস্তিষ্ক ডোপামিন নিঃসরণ করে যা আমাদের সুখী করে।♚ গবেষকদের মতে হাসি এবং সুখের মধ্যে যোগসূত্র আছে। তবে সারাক্ষণ মুখে নকল হাসি দিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে ব্যাপারটা এমনও নয়। প্রতিদিন সকালে আয়নায় নিজেকে দেখে হাসতে চেষ্টা করুন।

ব্যায়াম
ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্য নয়,নিয়মিত ব্যায়াম মানসꦐিক চাপ, উদ্বেগের অনুভূতি এবং বিষণন্নতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে। এতে সুখ অনুভব হয়। অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। পাঁচ মিনিট স্ট্রেচিং দিয়ে দিন শুরু করতে হবে। প্রতি রাতে খাবারের পর হাঁটতে হবে। এ ছাড়া গলফ, বোলিং বা নাচের অনুশীলনও করা যেতে পারে।

প্রচুর ঘুম 
আধুনিক জীবনযাপনে অনেকের কম ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। তবে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। এটা কোনভাবে অবহেলা করা যাবে না। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম সুস্বাস্থ্য,মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মানসিক সুস্থতার জন্য বিশ্বস্ত উৎস হতে পারে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম হৃদরোগ,বিষন্ণতা  এবং ডায়াবেটিসের মতো কিছু দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার বিকাশের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
ভাল ঘুমের রুটিন তৈরꩲি করতে কয়েকটি কৌশল রয়েছে। আপনি প্রতি রাতে কত ঘন্টা ঘ☂ুমান এবং আপনি কতটা বিশ্রাম বোধ করেন তা লিখে রাখুন। অথবা আপনি আপনার ঘুম ট্র্যাক করতে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করতে পারেন। ঘুমানোর আগে গোসল করুন,পড়ুন বা আরামদায়ক কিছু করুন। ভারী খাওয়া-দাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার বেডরুম অন্ধকার, ঠান্ডা এবং শান্ত রাখুন। যদি দেখেন নিয়মিত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

খাবারে মনোযোগী হোন 
খাবার গ্রহণে মনোযোগী হতে হবে। কারণ খাবার মনের ওপর প্রভাব ফেলে।  কার্বোহাইড্রেট সেরোটোনিন নিঃসরণ করে। শাকসবজি, মটরশুটি এবং পুরো শস্য সেরোটোনিন সরবরাহ করার সময় ক্র্যাশ এড়াতে সাহায্য করে। চর্বিহীন মাংস, হাঁস-মুরগি, শিম এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিন বেশি থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রিন নিঃসরণ করে যা শক্তি এবং ঘনত্ব বাড়ায়। ওমেগা-৩ 💖ফ্যাটি অ্যাসিড মাছে পাওয়া যায় এটা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে খাবার অদল-বদল করে নেওয়া যেতে পারে।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ থাকতে হবে। যেমন একজন সহকর্মী যিনি আপনাকে এক কাপ কফি অফার করেছেন বা প্রতিবেশী যিনি আপনাকে হাত নেড়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। চারপাশের সমস্ত ইতিবাচক জিনিস আপনার মন💞কে ফুরফুরে রাখবে।

প্রশংসা করুন 
গবেষণ🐎া পাওয়া গেছে, অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করলে পুরো জীবনে কল্ওযাণ আসবে। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। আপনি যদি কাউকে তার শারীরিক চেহারার জন্য প্রশংসা করতে চান তবে সেটা সম্মানজনক উপায়ে বলতে ভুলবেন না।

গভীরভাবে শ্বাস নিন
নানা কারণে চিন্তা হয়। নিজেকে শান্ত করার জন্য দীর্ঘ ও গভীর ভাবে শ্বাস নেওয়া যেতে পারে। গভীর শ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া চোখ বন্ধ করে সুন্দর জায়গা কল্পনা করার চেষ্টা করুন। এরপর আপনার নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। এবার মুখ বা নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। শান্ত বোধ করা শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করুন।
আপনার যদি ধীরগতিতে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে প্রতিটি শ্বাস এবং শ্বাস ছাড়ার সা⛄থে পাঁচ গণনা করার চেষ্টা করুন।

Link copied!