সন্তান জন্ম দে✅ওয়ার পর বাবা মায়ের পুরোটা সময় যেন তাকে ঘিরেই থাকে। সন্তানের দেখভালে, চলাফেরায় কোন অসুবিধে যেন না হয়, এমনকি সন্তানকে জিনিয়াস বানানোর চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখে না। সন্তানকে ঘিরেই বাবা মায়ের কত স্বপ্ন, আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে। কিন্তু সব সন্তান তো আর জিনিয়াস হয়ে বড় হয় না। বাবা মায়ের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকে না। কিন্তু কিছু কারণে সন্তানের মধ্যে পুরোপুরি বিকাশ হয় না। কেউ হয়তো জিনিয়াস হলো। সবকিছু সহজেই আয়ত্ত করে নিল। আবার কোনো বাচ্চা হয়তো মধ্যমেধার দলে সামিল হলো। এদিকে অনেক বাচ্চা আবার স্লো লার্নার হয়। তাদের যেকোনো কিছু করতে এবং বুঝতে সময় লাগে। এমন শিশুদের যথাযথ যত্নের প্রয়োজন হয়। শিশুর মধ্যে এমন লক্ষণ দেখা দিলে বাবা মাকে বাড়তি যত্ন নিতে হয়। তাকে সববিষয়ে সাহায্য করতে হবে এবং যথার্থভাবে⛎ বড় করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার বাড়তি যত্ন নিতে হবে। 🍰ছোট থেকেই শিশুর আচরণ খেয়াল করতে হবে। যেমন-
বাচ্চার প্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাচ্চাদের প্রতিক্রিয়া 🙈লক্ষ করতে হবে। বাচ্চাকে কোনো কিছু বলছেন কিংবা কোনো কাজের প্রতি তার প্রতিক্রিয়া কেমন খেয়াল করুন। প্রতিক্রিয়া কম হলে বুঝতে হবে তার বুদ্ধির বিকাশ এখনও হয়নি। তার প্রতি বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। বাবা মাকে ধৈর্য্য নিয়ে সেই বাচ্চার প্রতি বাড়তি সময় দিতে হবে।
বাচ্চার কথা বলা
বাচ্চা মানসিক বিকাশ কম হলে স্বাভাবিক অভিব্যক্তি প্রকাশেও সমস্যা হয়। বয়স বাড়লেও বাচ্চা সঠিকভাবে কথা বলতে শেখে না। এমন বাচ্চার প্রতি ব🥀াবা মাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বাচ্চার পারিপাশ্বিক সবকিছুতে আরও নজর দিতে হবে। তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বেশি বেশি খেলাধুলা করতে দিতে হবে। অনেক বাচ্চা বাবা মায়ের সঙ্গে অল্প অল্প কথা বললেও অপরিচিতদের সামনে একেবারে মুখ খুলে না। সেই জড়তা কাটাতে বাচ্চাকে সবার সঙ্গে 🐷মিশতে দিন। বেড়াতে নিয়ে যান এবং তার সঙ্গে সময় কাটান।
মনসংযোগ
স্লো লার্নার বাচ্চারা মনসংযোগের সমস্যায় ভোগে। তারা একদিকে মন দিতে পারেন না। আবার যেসব বাচ্চা চঞ্চল তাদেরও একই সমস্যা হয়। তাই মনোযোগে൩র অভাব বুঝলে সন্তানের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন।
নার্ভাস হয়ে যাওয়া
অনেক বাচ্চা সমস্যায় পড়লে নিজেই সমাধান বের করে নিতে পারে। কিন্তু স্লো লার্নার যারা তাদের সমস্যায় পড়লে গুটিয়ে যায়। অনেকটা নার্ভাস হয়ে পড়ে। তারা সমাধানের 🌞চেষ্টাও করতে চায় না। যেমন কোনো খেলনা উল্টো হয়ে গেলে তা সোজা করতে হবে তাও সে করবে না। এমন শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। তাদেরকে কাউন্সিলিং করাꦯ যেতে পারে।
সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে না পারা
বাচ্চারা বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো বাচ্চা যদি সমবয়সীদের থেকে দূরে সরে থাকে বা মিশতে না পারে তবে তা লক্ষণীয় বিষয় বটে। সমবয়সী💙দের থেকে দূরে য♔াওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। অন্য বাচ্চাদের দেখে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এমন বাচ্চাদের সাহায্যের প্রয়োজন। তাদের প্রতি বাবা মাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।