বৃষ্টি হলে ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়। পোকামাকড়ের উৎপাত বাড়ে। মশা-মাছি তো আছেই, পিঁপড়ে-আরশোলার জ্বালায় অতিষ্ঠ হতে হয়। তার ওপর সাপের উপদ্রবও কম 🔯না।
যাদের বাড়িতে গাছপালা বেশি বা ছোটখাটো বাগান আছে তাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কখন কোন ফাঁকে সাপ, ব্যাঙ, পোকামাকড় ঘরে ঢুকে যাবে। গাছপালার টবের মধ্যেও অনেক সময় ঘাপটি মেরে থাকে সাপ। তবে একবার কামড়ালে বোলতা বা ভিমরুল কামড়ানোর মতো জ্বালাপোড়া করতে থাকবে শরীরে। তাই বর্ষার দিনে পোকামাক﷽ড়ের হাত থেকে রেহাই পেতে কী কী করতে হবে🔯 জেনে নিন।
লেমন গ্রাস
ঘরে রাখত🦄ে পারেন 🦩এই গাছড়া। লেমন গ্রাসের সুন্দর গন্ধ আপনার পছন্দ হলেও পোকামাকড়রা মোটেও তা পছন্দ করে না। লেমন গ্রাস লাগালে আপনার বাড়ির ধারেকাছে সাপ, বিছে আসবে না। পোকামাকড়ের উৎপাতও কমবে।
নিম তেল
পোকামাকড় তাড়াতে খুবই কার্যকরী। ঘরের মেঝেতে, বাইরে, ঘরের চারপাশে নিম তেল স্প্রে করে রাখুন। ব꧋াড়িতে যদি গাছপালা বেশি থাকে, তা হলে টবের চারদিকেও স্প্রে করে নিন। দেখবেন, সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হবে। নিম তেলের উগ্র গন্ধে পিঁপড়ে, আরশোলা, টিকটিকির থেকেও রেহাই পাবেন।
কার্বলিক অ্যাসিড
আপনার বাড়ির আশপাশের যদি সাপের আনাগোনা বেশি থাকে, তা হলে কার্বলিক অ্যাসিড ঘরে মজুত করে রাখতেই পারেন। বর্ষার সময়টাতে বাড়ির চারপাশে ছিটিয়েꦆ রাখুন কার্বলিক অ্যাসিড। সাপ ধারেকাছে ঘেঁষবেই না। তবে বাড়িতে শিশুরা থাকলেꦛ কার্বলিক অ্যাসিড ছেটানোর সময় একটু সতর্ক থাকবেন। এই রাসায়নিক তো আর মানুষের জন্য ভাল নয়!
লেবু ও দারচিনির রস
সবচেয়ে আগে দেখতে হবে বাড়ির চারপাশে ময়লা বা আবর্জনা জ🌼মে আছে কি না। আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। না হলে কোনো টোটকাই কাজে আসবে না। ঘরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। ঘর মোছার পরে দারচিনির গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস বা ভিনিগার মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে ঘর⛄ের মেঝেতে স্প্রে করে দিন। বাড়ির সব জায়গায় এই মিশ্রণ স্প্রে করে রাখতে পারেন। এতে পোকাপাকড় দূরে থাকবে।
সালফার গুঁড়ো
সাপের উৎপাত বাড়লে বাড়ির চারপাশে সালফার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।♑ সালফারের ঝাঁজ সহ্যই করতে পারে না সাপ। তা ছাড়া পোকামাকড়ও পালাবে এর গন্ধে।
রসুন
কার্বলিক অ্যাসিড বা সালফার যদি না পান, তা হলেও চিন্তা নেই। রসুন থেঁতো করে ছড়িয়ে রাখুﷺন বাড়ির চারপাশে, ঘরের আনাচেকানাচে। থেঁতো করജা রসুনের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন সরিষার তেল। রসুন ও সরিষার তেলের গন্ধে সাপ, পোকামাকড়ের উৎপাত কমবে। বিষাক্ত কোনো পোকাও ঘরে ঢুকবে না।
