শ🌞িশুদের খাওয়া নিয়ে সব বাবা মায়েরই চিন্তা থাকে। সবার একটাই অভিযোগ, বাচ্চা খেতে চায় না। খাওয়ার জন্য় বাচ্চার সব বায়নাও মেনে নিতে রাজি অভিভাবকরা। এমনকি নিজের মোবাইল বাচ্চার হাতে দিয়ে খাবার খাওয়ানো চলে। বাচ্চারও মনযোগ থাকে মোবাইল স্ক্রিনে। মা কী খাওয়াচ্ছে, খাবারের স্বাদ কেমন তাতে কোনো মনযোগই থাকে না। এমনকি খাবার খাওয়ার সময়ও🉐 বেশি নিচ্ছে। এভাবেই বড় হচ্ছে আধুনিক যুগে ক্ষুদেরা।
বাবা মায়েরা এখন অনেক ব্যস্ত। আবার বাচ্চাকে হয়তো একা পরিবেশেই বড় করতে হচ্ছে। বাচ্চাকে নিয়ে সংসারের কাজ সারাতো ঝামেলা। তাই বাচ্চাকে ব্যস্ত রাখছে টেলিভিশন বা মোবাইলের মাধ্যমে। মোবাইল স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাচ্চা সময় কাটাচ্ছে। এক সময় তা নেশায় পরিণত হচ্ছে। সেই নেশা থেকেই খাওয়ার সময়ও তাদের মোবাইল ফোন চাই। বাবা মায়ের কাছে রীতিমতো বাচ্চাদের শর্ত থাকে, ‘মোবাইল ফোন দেখতে দিবে নয়তো খাবো না।‘ এভাবেই মোবাইল ফোন🎃ের স্ক্রিনের প্রতি আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। মনে রাখবেন, এই নেশা দূর করতে ভবিষ্যতে অভিভাবকদের বেশ কষ্ট হবে। তাই এখনই কিছু উপায় জানুন যার মাধ্যমে বাচ্চাদের মোবাইল বা টেলিভিশনের স্ক্রিনের আসক্তি কমাতে পারবেন।
- অভিভাবকরা আগে নিজেদের অভ্যাসকে ঠিক করুন। অনেক অভিভাবক টেলিভিশন বা মোবাইল ফোন দেখতে দেখতে খান। বাচ্চারা তেমনটাই অনুসরণ করবে। তাই খাবার টেবিলে বসে বাচ্চাকে খাওয়ান এবং নিজেও খান। খাওয়ার সময় টিভি বন্ধ রাখুন আর মোবাইল দূরে রাখুন।
- পরিবারে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস করুন। সোফায় কিংবা বিছানায় না বসে টেবিলে সবাই খাবেন। এই সময় বাচ্চাকেও খাওয়ানো অভ্যাস করুন। সবাই গল্প করতে করতে খাওয়া দাওয়া শেষ করবেন। বাচ্চা খাবারকে উপভোগ করবে। মোবাইলের কথা মনেও থাকবে না।
- বাচ্চাকে খাওয়ার সময় টেলিভিশন বা মোবাইল ফোন দিবেন না। বরং তাকে বলুন, জলদি খাওয়া শেষ করলেই টেলিভিশন বা মোবাইন ফোন দেখতে পারবে। বাচ্চা খুশিতে দ্রুত খেয়ে নিবে। তবে এরপর টিভি চালালেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই দেখতে দিন।
- খাবার নিয়ে বেশি সময় বসে থাকা বিরক্তিকর। তাই বাচ্চাকে খাবার শেষ করার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। তবেই শিশুর মধ্যে সময় মেপে খাওয়ার তাগিদ থাকবে।
- ছোট্ট শিশুকে খাওয়ার সময় খাওয়ার সময় মোবাইল ফোন না দিয়ে নিজেই ছড়াগান শোনান। কিংবা মজাদার কোনো গল্প শুনিয়ে খাওয়ান। এতে শিশু খাবারটা উপভোগ করবে।
- বাচ্চাকে অবসর সময় মোবাইল ফোন না দিয়ে বরং রং তুলি দিয়ে আঁকতে দিন। গল্পের বই পড়তে দিন। এতে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি কমে যাবে।