পশু কোরবানি༒র শেষ প্রস্তুতি চলছে। অনেকে পশু কিনতে এখনও হাটে ভিড় করছে। আর যারা পশু কিনে রেখেছেন তারা কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদের সকালে নামাজ শেষেই পশু কোরবানি সম্পন্ন হবে। কোরবানির পর পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি কাজ। বর্জ্য পরিষ্কার না করলে পরিবেশ নোংরা হয়। আবার তা মানবদেহের জন্যও ক্ষতিকর। তাই কোরবানির পশুর বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলে রাখা উচিত নয়।
কোরবানির পর পশুর রক্ত, ঘাস, লতাপাতা, নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে তা বাতাসের সঙ্গে জড়িয়ে দূষিত হয়ে যায়। যা মারাত্নক স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। এটি বিভিন্ন রোগের কারণও হতে পারে। তাই কোরবানির প🌟রবর্তী সময়ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পশু কোরবানির পর বর্জ্য পরিষ্কারে🐭 যে বিষয়গুলো করতꦇে হবে চলুন জেনে নেই এই আয়োজনে।
- পশু কোরবানি পর রক্ত ও অন্যান্য উচ্ছিষ্ট অংশগুলো যথাযথভাবে অপসারণ করতে হবে। গরু কোরবানির পর ওই স্থানটিতে চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে রাখুন। এরপর মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। আশেপাশে বর্জ্যগুলো ঝাড়ু দিয়ে কেঁচে একটি পলিব্যাগে তুলে নিন। এরপর পুরো স্থানটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- পশু কোরবানির পর নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট বের করে যত্রতত্র ফেলে দিবেন না। এতে সেগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াবে। এগুলো যথাযথ স্থানে ফেলুন।
- পশু কোরবানির স্থানটিতে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর অবশ্যই ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দিন। স্থানটি জীবনুমুক্ত হবে।
- পশু কোরবানির পর বর্জ্য পরিষ্কারের সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানটি পরিষ্কারের ব্যবস্থা করুন।
- পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের পর নিজেকেও পরিষ্কার করে নিতে হবে। কোরবানির স্থানটি এবং নিজের হাত, পা ও সারা শরীর পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে স্যাভলন ব্যবহার করুন।
- কোরবানি করা পশুর হাড়, লেজ, কান, মাথার খুলি ও পায়ের অবশিষ্টাংশ অবশ্যই বর্জ্য ফেলার ব্যাগে ভরে সেটি কাছাকাছি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ১-২ দিনের মধ্যেই তা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।