• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে বিষন্নতা বাড়ায়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে বিষন্নতা বাড়ায়
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল যুগে এখন অধিকাংশ মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্ভরশ🌃ীল। অবসরের শতভাগ সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটছে। যার ফলে ভার্চুয়াল যোগাযোগই বেশি বাড়ছে। দৈনিক কাজের ফাঁকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মেরে আসছে। হয়তো কেউ খবর দেখছেন, আবার কেউ চ্যাটিংয়েই সময় কাটাচ্ছেন। নতুনদের সঙ্গে আলাপ করা, পুরোনোদের সঙ্গে গেট টুগেদার সবই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিভিন্ন জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, সারা বিশ্ব🐎ে প্রায় ৪ বিলিয়ন মানুষ এখ♔ন ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন। যা ব্যবহারের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের তদন্তে উঠে এসেছে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা মানুষের হতাশার  ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।

গবেষণায় দেখা যায়, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি সময় কাটাচ্ছেন তাদের তুলনায় যারা সোশ্যাল মিডিয়া কম সময় কাটান বা ব্যবহার করেন না তারা বেশি সুখী হন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেতিবাচক আবেগের ট্র𝄹িগার বেশি হয়। যা তাদের বিষণ্নতার অন্যতম কারণ। এই অভ্যাস বিষণ্নতার লক্ষণগুলোকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়।

২০২৩ সালের মে মাসে, ইউএস সার্জেন জেনারেল ডাঃ বিবেক মূর্তি যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের বিষয়ে গবেষণা করেন। তিনি যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।  তিনি জানান, বয়ঃসন্ধিকাল মস্তিষ্কের বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারে জীবনের সন্তুষ্টি কমে যেতে পারে।  বদলে যেতে পারে শরীরের চিত্র। ঘুমের সমস্যা হতে পারে।🧜 সেই সঙ্গে অতিরিক্ত উদ্বেগের বহিপ্রকাশ ঘটতে পারে।

মূলত বিশ্বের সব কিশোর-কিশোরীরা এখন কোনো না কোনো সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি বিবেচনা ক🌟রে আরও গবেষণার গুরুত্ব রয়েছে বলেও জানান ডক্টর বিবেক মূর্𝓀তি।

বিষণ্নতা কী

ডিপ্রেশন বা মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার হলো একটি মুড ডিসঅর্ডার। এতে একজন ব্যক্তির মধ্যে ক্রমাগত দুঃখের অনুভূতি হয়। যেকোনো বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। কিছু করার আগেই বা যে কোনো♒ কিছুতেই হতাশা হয়ে যায়। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করে। যা তাকে আরও দুর্বল করে দেয়।

বিষণ൲্নতা মৃদু বা গুরুতর হতে পারে। তাদের পক্ষে কোনো কিছুতে মনোযোগ দেওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া, খাওয়া দাওয়ায় অরুচি বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, কোনো ব🎃িষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা এবং দৈনিক স্বাভাবিক রুটিনগুলো সম্পূর্ণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

শুধু𒐪 তাই নয়, যারা বিষণ্নতায় ভোগেন তারা আত্মহত্যার কথাও ভাবতে পারে। জীবনকে  মূল্যহীন বোধ করে। উদ্বেগ তৈরি হয়। শরীরে ক্লান্তি অনুভব হওয়া এবং মাথাব্যথার মতো শারীরিক লক্ষণ থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সাইকোথেরাপি এবং ওষুধ হল বিষণ্নতার চিকিৎসা। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো বন্ধ করতে হবে। বিশ্বের বাস্তব সংযোগগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবেই মানসিক স্✃বাস্থ্যের উপক꧒ার হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে বিষণ্নতায় প্রভাব ফেলে

কয়েক বছর আগেও সোশ্যাল মিডিয়া এতটা জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি♚ জনসংখ্যা নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে সক্রিয় রয়েছে। এর পেছনে কারণও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বের নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে। দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে যেকোনো খবর। তবে অধিকাংশ মানুষ নেতিবাচক খবরগুলোই বেশি দেখছে। যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে।

২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা গভীর রাতে সোশဣ্যাল মিডিয়ার অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাদের বিষণ্ণ এবং অসুখী ✤হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ওই বছর আরও একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে,  সোশ্যাল মিডি💖য়ায় যারা যত ♒কম সময় ব্যয় করে, তারা বিষণ্নতা এবং একাকীত্বের লক্ষণগুলো কম অনুভব করে।

২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যারা নেটওয়ার্কিং সাইট♈ে থাকাকালীন অন্যের বিষয় দেখে ঈর্ষা অনুভব করেন, তাদের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণগুলো বিকাশের সম্ভাবনা বেশি ছিল।

পারস্পরিক সম্পর্ক

সোশ্যাল মিডিয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্প✱র্কে কিছু গবেষণা প্রকাশ হয়। সেসব গবেষণায় দেখা গেছে, নেটওয়ার্কিং সাইট ও বিষণ্নতার মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে।

২০১৮ সালে জার্নাল অফ সোশ্যাল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি অধ্যায়নে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া খুব ভালোভাবে বিষণ্নতার কারণ হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া সীমিত করলে একাকীত্ব এবং বিষণ্নতাও ক🧸মে যায়।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা যত কম সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, তত কম হতাশাগ্রস্ত এবং একাকী বোধ করে। এটি ꦯসোশ্যাল ꦺমিডিয়ার কম ব্যবহারের সঙ্গে মানসিক সুস্থতার মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্দেশ করে।

গবেষকদের মতে, প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সোশ্যাল মিডিয়া ও বিষণ্নতার মধ্যে একটি কার্যকারণ লিঙ্ক স্থাপন 🐟করেছে।

অধ্যায়নের লেখক জর্ডিন ইয়ং এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা শুধু বলতে পারি যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা এবং সুস্থতার সঙ্গে খারাপ ফলাফলের 🤪মধ্যে একটি🍰 সম্পর্ক রয়েছে।"

সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিষণ্ণতার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। গবেষণায় পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৩ জন শিক্ষার্থীকে দুটি দলে ভাগ করা হয়। একটি দলের শিক্ষার্থীদের কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলের শিক্ষার্থীরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে꧃র জন্য় মাত্র ৩০ মিনিট বরাদ্দ পান। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস করতে আইফোন ব্যবহার করেন। তাদের ফোনের ডেটা পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকরা। এরপর গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, সীমিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস পাওয়া দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং একাকীত্বের তীব্রতা কম ছিল। অন্যদিকে বিধিনিষেধ ছাড়াই যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল তাদের মধ্যে বিষণ্নতা বেশি রয়েছে।

তবে গবেষকরা জানান, উভয় দলই উদ্বেগের কথা জানিয়েছ꧃ে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা কতটা সময় ব্যয় করছেন সেই বিষয়েও সচেতন হয়েছেন।

এদিকে যারা সুখী জীবনযাপন করেন এবং সুখের সময়ের ছবি বা ভিডিও সোশ্যাল মিডি🎀য়ায় পোস্ট করেন তাদের দেখে অন্যদের নেতিবাচক অনুভূতি হতে পারে। অন্যরা নিজেদের জীবন নিয়ে হতাশায় ভুগতে পারে। এটিও বিষণ্নতার অন্যতম কারণ।

২০১৫ সালের ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যের পোস্ট করা ছবি বা ভিডিও🐠 দেখে হিংসার অনুভূতি  অনুভব করেন, তবে তাদের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আবার বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু যেতে পারেননি। কিংবা বন্ধুরা আপনাকে না জানিয়েই সমুদ্র দেখতে বা কোথাও বেড়াতে গিয়েছে এবং স☂েখানকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তা দেখেও আপনার মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এমন ঘটনায় আহত বো෴ধ করতে পারেন। সামাজিক বৃত্তের অন্যদের মাঝ থেকে নিজে বাদ পড়েছে এমন অনুভূতি কষ্ট দিতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে। এমনকি নিজস্ব মূল্য নিয়ে মনে প্রশ্ন তুলতে পারে।

এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা অনেকেই প্রাক্তনের পোস্ট দেখতে পছন্দ করেন। প্রাক্তন সঙ্গীর ছবি দেখেন এবং প্রাক্তনের নতুন প্রেম দেখার আগ্রহ দেখান তারাও বিষণ্নতা অনুভ𒈔ব করতে পারেন। প্রাক্তনের সঙ্গে ভালো সময়গুলোর কথা মনে পড়ে যেতে পারে। আবার প্রাক্তন আপনাকে ঠকিয়েছে ভেবেও কষ্ট পেতে পারে। যা আপনাকে বিষণ্ন করে তুলতে পারে।

তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কম সময় ব্যয় করলে অন্যের সঙ্🃏গে নিজেকে তুলনা করার বিষয়টিও কমবে। এতে নিজেকে𓆉 নিজের কাছে খারাপ মনে হবে না। আর বিষণ্নতার লক্ষণগুলোও থাকবে না।

কেন তরুণরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে

ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া শুরুর আগে অভিভাবকদের শুধুমাত্র শিশুদের স্কুলের মাঠে উত্পীড়নের বিষয়ে চিন্তা করতে হতো। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তারের পর থেকে নেটদুনিয়ায় বুলির শিকার হওয়ার যন্ত্রণা বেড়েছে। যেকোনো মানুষকেই যে 🍸কেউ টার্গেট করতে পারে এবং উপহাস, মারধর বা অপমানিত হওয়ার একটি ভিডিও নেটদুনিয়ায় প্রচার করতে পারে। অনেকে সেখানে নেতিবাচক মন্তব্য রেখে দেয়। আবার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয🌟়ে সোশ্যাল  মিডিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেশিকিছু ক্ষেত্রে, নির্যাতনের শিকার এমন ব্যক্তিরা অবশেষে আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছে।

অধিকাংশ স্কুলে অনলাইনে ছাত্রদের আচরণের বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। তবুও শিক্ষাবিদ এবং অভিভাবকদেꦡর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাত্র❀দের আপত্তিজনক আচরণ নিরীক্ষণ করা কঠিন হয়ে যায়।

আরও খারাপ বিষয় হলো নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা প্রায়শই ভয় পায় যে তারা যদি অভিভাবক, শিক্ষক বা প্রশাসꦰকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বিষয়টি প্রকাশ করেন তবে উত্পীড়ন আরও  বাড়বে। এই উপলব্ধি একটি বাচ্চাকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন বোধ করায়। যা বিষাক্ত এবং অস্থির পরিস্থিতির তৈরি করে। তাদের যথার্থ মানসিক সমর্থনের প্রয়োজন হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক খবর

সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহারক🦩ারীরা দিনে একাধিকবার ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যম লগ ইন করেন। যেখানে খারাপ খবর ঘন ঘন প্রকাশ পায়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সন্ত্রাসী হামলা, রাজনৈতিক কলহ এবং সেলিব্রিটিদের মৃত্যু সম্পর্কিত খবরগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি ভিউ হয়। অথচ সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের আবির্ভাবের আগে, খারাপ খবরগুলো এভাবে প্রকাশ হতো না। বরং মানুষ দিনের নির্দিষ্ট সময়ে প্রচারিত সম্প্রচার  থেকে বা দৈনিক প্রকাশিত সংবাদপত্র থেকে খবর জেনে নিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার সাইট বা অনলাইনে অন্য কোথাও খারাপ খবর প্রচার করার অভ্যাসটিকওে "ডুমস্ক্রোলিং" বলা হয়। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূ🅷প প্রভাব ফেলতে পারে। যা উদ্বেগ বা হতাশার লক্ষণগুলোকে বৃদ্ধি করে।

২০১৮ সালে ল্যানসেট সাইকিয়াট্রিতে ৯১,০০৫ জনের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। যেখানে দেখা গেꦺছে, যারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেসবুকে লগ ইন করেন তাদের বিষণ্নতাজনিত ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা ৬% বেশি এবং তাদের সুখের 🌸মাত্রাও কম।

মনোবিজ্ঞানী অ্যামেলিয়া আলদা বলেন, “ডুমস্ক্রোলিং জনসাধার🌜ণকে "নেতিবাচকতার দুষ্ট চক্রে" আটকে দেয়। চক্রটি চলতেই থ💝াকে। কারণ আমাদের মন নেতিবাচক বিষয়ের দিকে তাকাতে চায়। আমরা স্ক্রোলিংয়ে যত বেশি সময় ব্যয় করি, তত বেশি আমরা বিপদে পড়ি। ততই আমরা উদ্বিগ্ন হই।"

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত করার বিষয়ে পরামর্শ দেন গবেষকরা। যেমন_

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার মানসিক স্বাস🍸্থ্যের জন্য় ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এটি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা এই নেটওয়ার্কিং ওয়েꦗবসাইটগুলো পরিমিতভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।

যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকেন, তখন একটি টাইমার সেট করুন। ফোন বা কম্পিউটারে এ𒅌মন🌞 একটি অ্যাপ ইনস্টল করুন যা ট্র্যাক করতে আপনাকে সাহায্য করবে যে, আপনি নেটওয়ার্কিং সাইটে কত সময় ব্যয় করেছেন।

 

সূত্র: ভ্যারি ওয়েল মাইন্ড

Link copied!