তাপমাত্রায় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়তে থাকলে শারীরিক অস্বস্তি হবে নিশ্চিত। তবে এই অস্বস্তꦏি শুধু মানুষের হয়, তা নয়। আমাদের আশপাশে থাকা পোষা প্রাণীরও এই গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। মানুষের মতো গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগতে হয় তাদেরও। এই সময়ে দেহের উত্তাপ বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া, অতিরিক্ত 🔯ক্লান্ত বোধ করার মতো লক্ষণ দেখা যায় পোষা প্রাণীদের মধ্যে।
পশু চিকিৎসকেরা বলছেন🦹, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরম অনেকটাই বেশি। বেশির ভাগ পোষা কুকুরই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এই ধরনের সমস্যা পোষা প্রাণীদের বাঁচাতে কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে সেগুলো কী কী—
- পানীয় খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি দেহের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকে নজর দিতে হবে।
- পোষা প্রাণীদের নিয়মিত গোসল করানো উচিত। গায়ের বড় লোম ছোট করে কেটে রাখতে পারলেও ভালো হয়।
- পোষা প্রাণীদের নিয়ে রোদে হাঁটতে না বেরোনোই ভালো। যদি সুযোগ থাকে তা হলে রাতে অথবা সন্ধ্যার পর কিছুক্ষণ বাইরে ঘুরিয়ে আনতে পারেন।
- প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। কিন্তু গরমে পোষা প্রাণীদের দিয়ে অতিরিক্ত কসরত না করানোই ভালো।
- পোষা প্রাণীরা মাছ, মাংস খেতে ভালবাসলেও গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে টকদই, চিনি ছাড়া আইসক্রিম, পানির পরিমাণ বেশি থাকে এমন ফল খাওয়ানো যেতেই পারে।
অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে হঠাৎ যদি পোষা প্রাণীদের শরীর খারাপ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আগে তাদের দ🥀েহের উত্তাপ মেপে দেখা প্রয়োজন। সাধারণত তাদের দেহের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের আশপাশে থাকে। যদি তা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছে যায়, তাহলে তা হিটস্ট্রোকের লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। জ্বরের ওষুধ দেওয়ার ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।