অনেকেই এখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি জমান। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে অনেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে যান। অনেকে আবার গ্রাজুয়েশন শেষ করে আরও উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের নামিদামি দেশে ছুটে যান। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ তরুণ বা তরুণীর মধ্যেই এই আকাঙক্ষা দেখা যায়। সুযোগ পেলেই পরিবারের সম্মতিতে বিদেশ পাড়ি দেন। অনেকে পড়াশোনা শেষে ফিরে আসেন। আবার অনেকে সেখানেই নিজের ক্যারিয়ার গড়েন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাꦇ বিদেশেই স্থায়ী হন।
বহির্বিশ্বে পড়তে গেলে রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়েই যেতে হয়। ভিনদেশে গিয়ে প্রথমে🐠ই সবকিছু নিজের মতো করে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া বিদেশের আবহাওয়া বা সংস্কৃতিও ভিন্ন থাকবে। তাই সব বিষয়ে প্রস্তুতি রা🐬খতে হবে। চলুন বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে নিজের প্রস্তুতি কেমন হবে তা জেনে নেই।
পোশাক যেমন হবে
প্রথমেই যে দেশের যে অঞ্চলে যাচ্ছেন,ౠ সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা নিন। কারণ বিদেশে একেক স্টেটের আবহাওয়া একেক রকম হয়। সেই অনুযায়ী পোশাক নির্বা🐬চন করুন। যদি শীতের দেশে যান, তবে খুব বেশি পরিমাণে পোশাক নিবেন না। প্রাথমিকভাবে শীত সহ্য করা যাবে এমন পোশাক নিন। গ্লাভস, জুতা নিতে ভুলবেন না। ওজনের কথা মাথায় রাখবেন। অতিরিক্ত ওজন হলে বিদেশ চলাচল করাটা মুশকিল হয়ে যাবে। তাই প্রাথমিক শীতপোশাকই সঙ্গে নিন। মনে রাখবেন, বিদেশিদের কাছে যা বসন্ত, তা বাঙালির কাছে কনকনে শীতও হতে পারে। তাই পোশাক ভারী নেওয়াই ভালো।
আরামদায়ক জুতো
বিদেশে প্রচুর হাঁটতে হয়। তাই ব্র্যান্ডের আরামদায়ক জুতো সঙ্গে নিন। যা টেকসই হবে। যদিও বিদেশে এജমন জুতো অনেক পাওয়া য♛াবে। কিন্তু তা এক্সপেনসিভ হবে। তাই দেশ থেকেই ভালোমানের আরামদায়ক জুতো কিনুন। আবার ক্লাসরুমে যাতায়াতের জন্য স্নিকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র
বিদেশে হেলথ ইনস্যুরেন্স এবং বিভিন্ন মেডিকেল সেবা বেশ ব্যয়বহুল। তাছাড়া ডাক্তারের অ্যাপয়নমেন্ট নেওয়াও কষ্টকর। তাই বিদেশ🔯 যাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শে নিজের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে নিতে পারেন। বিদেশে চোখ এবং ডেন্টাল ইনস্যুরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্টুডেন্ট ইনস্যুরেন্সের আওতাধীন নয়। এসব সেবা প্রচুর ব্যয়বহুল হয়। আবার বিদেশে কোনো ওষুধ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা যাবে না। তাই ইমিগ্রেশনের সময় প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রেখে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে নিন। চশমা পরলে অতিরিক্ত দু জোড়া নিয়ে নেবেন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি টুলবক্স সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস
নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস সঙ্গে নিতে পারেন। কারণ বিদেশে গি𝓡য়ে প্রতিবেলায় আপনাকে নিজের রান্না নিজেকেই করে খেতে হবে। তাই রান্নার টুকিটাকি জিনিস সঙ্গে নিতে পারেন। তবে ক্রোকারিজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ওয়ালমার্টে অল্প দামেই এগুলো পাওয়া যাবে। এছাড়াও নিজ দেশের খাবার সেখানে পাওয়া যায় না। তাই দেশিয় কিছু খাবার, মশলা সঙ্গে নিতে পারেন। বিদেশে ভারতীয়, নেপালের দোকানে এই মশলাপাতি, সবজি পাওয়া যায়। কিন্তু তা সবসময় পাওয়া যায় না। তাই নিজ দেশের মশলা, রান্নার উপকরণ সঙ্গে নিতে পারেন। এয়ারলাইন্সে নিয়মকানুন মেনে শুকনো ꦉরান্নার উপকরণ নেওয়া যেতে পারে।
আরও যা লাগবে
দীর্ঘসময় বিমান যাত্রা করতে হয়। তাই ফোন চার্জার, এডাপ্টার হাতের𒐪 কাছে ব্যাগপ্যাকে নিয়ে নিন। দু-তিনটি বিমানবন্দরে চেক-ইন, ইমিগ্রেশন হয়। তাই হাতের কাছেই একটি ফাইলে অ্যাকাডেমিক কাগজপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রাখুন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ
যে দেশে পড়াশোনার জন্য যাচ্ছেন, সেখানে পরিচিত কোনো শিক্ষার্থী রয়েছে কিনা খোঁজ করুন। যদিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বিভিন্ন গ্রুপে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে। তাই ಌসেখানকার কমিউনিটির কারো সঙ্গে আলাপ করে আরও ধারণা নিয়ে নিন। বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে আপনি সুযোগ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি নিজের নানান বিষয়েও আলোচনা করে নিতে পারবেন।